Advertisment

লুকিয়ে বহু রহস্য, বিশ্বভারতীর ছাত্রমৃত্যুতে ফের সিবিআই তদন্ত দাবি পরিবারের

ময়নাতদন্তের আগেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি 'আত্মহত্যা' বলে দাবি করায় উপাচার্য বিদ‍্যুৎ চক্রবর্তী-সহ বিশ্বভারতীর কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ওই ছাত্রের পরিবারের লোকজন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
VHU_New

বিশ্বভারতীতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ফের সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল মৃত ছাত্রের পরিবার। শুক্রবার সকালে হস্টেলে নিজের ঘর থেকেই উদ্ধার হয়েছিল অসীম দাস নামে বিশ্বভারতীর পাঠভবনের দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রের দেহ। 'রহস্যজনক' এই মৃত্যুর 'পিছনে লুকিয়ে থাকা সত্য উদঘাটনে' সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে মৃত ছাত্রের পরিবার। ময়নাতদন্তের আগেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি 'আত্মহত্যা' বলে দাবি করায় উপাচার্য বিদ‍্যুৎ চক্রবর্তী-সহ বিশ্বভারতীর কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ওই ছাত্রের পরিবারের লোকজন।

Advertisment

এই ব্যাপারে ওই ছাত্রের বাবা সঞ্জীব দাস বলেন, 'আমার ছেলেকে মারধর করা হয়েছিল। ও আত্মহত্যা করেনি। উপাচার্য কীভাবে জানলেন যে আমার ছেলে আত্মহত্যাই করেছিল? আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, প্রত্যেকের শাস্তি চাই। সিবিআই তদন্ত করে প্রকৃত সত্য বের করুক।' পালটা, এই ঘটনায় বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ‍্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, 'এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা ওই পরিবারের সঙ্গে সম্পূর্ণ সমবেদনাশীল। বিশ্ববিদ্যালয় ওই পরিবারের দিকে যথাসাধ্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ওই ছাত্র কীভাবে মারা গেল, আমরা সেটাও জানার চেষ্টা করছি।'

আরও পড়ুন- টিআরএস ও আই-প্যাক চুক্তি, কিশোর কোন দলে, ধন্দে তেলেঙ্গানা কংগ্রেস

মৃত পড়ুয়ার বাড়ি বীরভূমেরই নানুরে। শুক্রবার সকালে হস্টেলের ঘর থেকে তাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধারের পর শান্তিনিকেতনের পিয়ারসেন মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ওই ছাত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। এই মৃত্যুর ঘটনায় বছর ১৭-র ওই ছাত্রের বাবা শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর ছেলের খুনের ঘটনায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ প্রকৃত সত্য আড়াল করছে। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই মৃত্যুর কারণ খুঁজতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

অসীম দাসের মৃত্যুর পর বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের একাংশ শুক্রবার থেকেই উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে। বাসভবনের বাইরের গেট ভেঙে দেয়। এরপর পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়ে পাঠান উপাচার্য বিদ‍্যুৎ চক্রবর্তী। শুক্রবার রাতেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় টুইটে জানান, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ‍্যুৎ চক্রবর্তী বীরভূমের পুলিশ সুপারের কাছে প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এরপরই পুলিশ উপাচার্যের বাড়ির সামনে ছুটে যায়। তিনি ব্যক্তিকে উপাচার্যের বাসভবনের বাইরের গেট ভাঙার অভিযোগে আটক করা হয়। এরপর পড়ুয়ারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ তুলে নেয়। তবে, একইসঙ্গে তারা মৃত ছাত্রের বাবার সঙ্গে দেখা না-করার জন্য উপাচার্যের তীব্র সমালোচনা করেন।

Read story in English

Advertisment