New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/22/JtkUopDoY4kyEUTJfXWZ.jpg)
অনুব্রত গড়ে 'সিংহে'র হদিস, বিরাট হুঙ্কারে বাঘের 'গর্জন'কে থোড়াই কেয়ার Photograph: (ফাইল ছবি)
Kajal Sheikh Bronze Crown: “কেউ অন্যায় করলে তার উপর সিংহের মতো ঝাঁপিয়ে পরব”। ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে মাথায় 'মুকুট যুক্ত সিংহ' উপহার পেয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়েজুল হক ওরফে কাজল শেখ সিংহ। হাবেভাবে এও বুঝিয়ে দিলেন অনুব্রতগড়ে বাঘ কেষ্ট হলে সিংহ কিন্তু তিনিই । তাও আবার মুকুট যুক্ত।
Advertisment
বুধবার ছিল বীরভূমের নানুর ব্লকের চণ্ডীদাস মহাবিদ্যালয়ের নবীন বরণ উৎসব। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে ওই অনুষ্ঠানে কাজল শেখের হাতে একটি ব্রঞ্চের সিংহ উপহার দেওয়া হয়। সিংহের মাথায় রয়েছে সোনালি মুকুট। তিন ফুটের ওই সিংহের ওজন ১২-১৪ কেজি। দলীয় ছাত্র সংগঠনের কাছ থেকে এমন উপহার পেয়ে উজ্জীবিত কাজল শেখ নিজেকে সিংহের সঙ্গে তুলনা করে ফেলেন।
সাংবাদিকদের বলেন, “বিভিন্ন সময় আমাকে বলা হত মুকুটহীন সম্রাট। বিভিন ধরনের আখ্যা, উপাধি আমাকে দেওয়া হয়েছে। সেই সব কথা মাথায় রেখে, সেই তকমা ঝেড়ে ফেলতেই কলেজের ভাইরা আমাকে এই উপহার তুলে দিয়েছে। আমিও কথা দিচ্ছি বীরভূম জেলায় কোথাও কোন অন্যায় অত্যাচার দেখলে সিংহের মতো ঝাঁপিয়ে পরব"।
Advertisment
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দলীয় কর্মীরা 'বাঘের' সঙ্গে তুলনা করেন। এক সময় সেই বাঘকে নিয়ে নিজের ফেসবুকে কটাক্ষ করেছিলেন কাজল শেখ। শীর্ণকায় বাঘের ছবি দিয়ে কার্যত অনুব্রতকেই কটাক্ষ করেছিলেন বলে দলের একাংশের দাবি ছিল। এবার সিংহের মূর্তি পেয়ে কাজল শেখ কার্যত অনুব্রতকে ছাপিয়ে গেলেন বলে মনে করছেন অনেকেই। অবশ্য কাজলের কথাবার্তায় তেমনই ইঙ্গিত ধরা পড়েছে।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নানুর ব্লক সভাপতি আব্দুল রেজ্জাক বলেন, “বনের রাজা যেমন সিংহ। তেমনই কাজল শেখ আমাদের কাছে সিংহের সমান। তিনি যুব সমাজকে সিংহের মতো আগলে রেখেছেন। তাই আমরা তাঁকে ওই উপহার দিয়েছি। অনুব্রত মণ্ডল বাঘ। তবে কে বড় সেটা নেতারা বলতে পারবেন”।
বিজেপির বোলপুর জেলা সাংগঠনিক সভাপতি সন্যাসী চরণ মণ্ডল ওরফে অষ্টম বলেন, “বাঘ (অনুব্রত) বছর দুয়েক খাঁচায় থেকে সবে বেরিয়ে এসেছে। তার আর তেজ নেই। এখন নিজেকে যিনি সিংহ ভাবছেন তিনিও খুব তাড়াতাড়ি খাঁচায় ঢুকবেন”। তিনি আরও বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের এই মুহূর্তে কোন আয় নেই। তারা কিভাবে ব্রঞ্চের মূর্তি উপহার দিল? তারা টাকা কোথায় পেল? আসলে এরা ছাত্রছাত্রীদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত করে কাটমানিতে হাত পাকাতে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে।"