২০১৯ সালের লোকসভায় ১৮ আসন জিতে বঙ্গ রাজনীতিতে হইহই ফেলে দিয়েছিল বিজেপি। শুরু হয় পদ্ম পতাকা হাতে তোলার হিড়িক। ওই বছরই জুলাই মাসে দিল্লিতে গিয়ে একঝাঁক টলিউড ও টেলিউডের অভিনেতা, অভিনেত্রী গেরুয়া দলে যোগদান করেছিলেন। সেই তালিকায় ছিলেন বাংলা ছোট পর্দার পরিচিত মুখ কাঞ্চনা মৈত্রও। সোমবার কাঞ্চনা বিজেপি ছাড়লেন।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে দলের নানা কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে কাঞ্চনা মৈত্রকে। বিক্ষোভ আন্দোলনে পুলিশি বাধার সামনেও লড়াই চালিয়েছেন তিনি। যদিও গত কয়েক মাস সেইভাবে বিজেপিতে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি তাঁকে। সেই কাঞ্চনাই সোমবার সোশাল মিডিয়ায় রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা করলেন।
কেন রাজনীতিকে বিদায় জানালেন কাঞ্চনা মৈত্র? ফেসবুকে অভিনেত্রী লিখেছেন, 'কাজ ও পরিবারকে সময় দিতে চাই। তাই দল ও রাজনীতিকে আপাতত বিদায় জানালাম।' সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে হোয়াটসঅ্যাপ করে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়টি জানিয়েছেন কাঞ্চনা।
রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে গিয়ে তৃণণূলে যোগ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। আর তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই অভিনেত্রী দল ছাড়লেন। যারপরনাই অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি। যদিও দলের তরফে দাবি, কাঞ্চনা মৈত্র বিজেপিতে সক্রিয় ছিলেন না। একসময়ে শাখা সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
সূত্রের খবর, দলের পুরনো কর্মীদের ভাল করে সতর্ক হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন কাঞ্চনা মৈত্র। ফলে, অভিনেত্রীর দল ছাড়ার সময় ফের উস্কে উঠল বঙ্গ বিজেপির অন্দরের আদি-নব্য বিবাদ।