বুধবারই আংটি বিতর্ক জড়িয়েছেন জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেলে পার্থর হাতে আংটি রয়েছে দাবি করে তাঁকে 'প্রভাবশালী' বলে আদালতে জানিয়েছিল ইডি। তাপর অবশ্য তড়িঘড়ি হাত থেকে আংটি খুলে পরিস্থিতি সামলা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন অপসারিত তৃণমূল মহাসচিব। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন যুব তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক তথা নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত জেলবন্দি কুন্তল ঘোষ।
এদিন আদালতে ঢোকার মুখে পুলিশের ভ্যান থেকে নামার সময় কুন্তল ঘোষকে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ তাঁর কী মতামত এবং বড়ঞার ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক আথে কিনা? জবাবে কুন্তল নিজের দুই হাত দেখিয়ে সটান জবাব দেন, 'হাতে আংটি নেই। তবে ঘামাচি আছে!'
আরও পড়ুন- বিজেপিতে আবারও ‘বিরাট’ পদে মুকুল? আকার-ইঙ্গিতে কী বোঝালেন দিলীপ?
পার্থ ও কুন্তলের দ্বৈরথ এই প্রথমবার নয়। এর আগেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে অনেক কথা প্রকাশ্যেই বলেছেন কুন্তল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর নাম নেওয়া নিয়েও প্রেসিডেন্সি জেলেও পার্থ এবং কুন্তলের বাকবিতণ্ডা ছড়িয়ে পড়েছিল। এবার আর আড়ালে নয়, সর্বসমক্ষেই পার্থকে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন কুন্তল। কেন? রাজনীতিক বিশ্লেষকদের মতে, 'হাতে আংটি নেই। তবে ঘামাচি আছে!' এই মন্তব্যের মাধ্যমে কুন্তল বোজাতে চেয়েছেন যে তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর মত‘প্রভাবশালী’ নন।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্সি জেলের 'পয়লা বাইশ' ব্লকে ঠাঁই হয়েছে কুন্তল এবং পার্থর। ওই ব্লক সাধারণত ভিআইপি বন্দিদের জন্য বলেই পরিচিত। এর আগে জেলে খাট, বিছানার সুবিধাও পাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জেল সুপারকে চিঠিওদিয়েছিলেন তা প্রত্যাহারের জন্য। এখনও কী তাহলে তা বজায় রয়েছে? নিজের বক্তব্যে তারই কী ইঙ্গিত দিয়েছেন বন্দি কুন্তল ঘোষ।
এদিকে কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার বৃহস্পতিবার আদালতে মার্চ মাসের নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনের সিসিটিভি ফুটেজের তিনটি হার্ডডিস্ক জমা দিয়েছেন। সঙ্গে জমা দেওয়া হয় অরিজিনাল ভিজিটার রেজিস্টারও। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেল সুপার আদালতে এইসব জনা করেছেন।