আবারও মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় বিরোধীরা। নেতাজি ইন্ডোরের সরকারি অনুষ্ঠান-মঞ্চ থেকে বিরোধীদের উপর্যুপরি আক্রমণের কড়া জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ''বাংলার খেয়ে দিল্লিকে বলছে বাংলায় টাকা দিও না।'' বিজেপিকে প্রবল আক্রমণ শানিয়ে এদিন সুর আরও চড়া করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফের মমতার নিশানায় বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে একাধিক সরকারি প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১০০ দিনের কাজে বহু দিন ধরেই কেন্দ্রীয় সাহায্য বন্ধ রয়েছে। যার জেরে এরাজ্যে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদিও জবকার্ডধারীদের জন্য রাজ্য সরকারই বিকল্প কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত করছে। রাজ্যের সরকারি দফতরগুলিতে ১০০ দিনের কাজে তালিকাভুক্তদের প্রশিক্ষণহীন কর্মী হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শুধু ১০০ দিনের কাজর প্রকল্পেই নয়, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে শুরু করে নানা প্রকল্পে টাকা দিচ্ছে না মোদী সরকার, এমনই অভিযোগ রাজ্যের। এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী নিশানা করেছেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে।
বঙ্গ বিজেপির নেতারাই দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রকে এরাজ্যে টাকা দিতে বারণ করছে, বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন মমতা। বাংলার বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপপ্রচার করা হচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি এদিন বলেন, ''কিছু লোক, কুৎসা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। বাংলার বিরোধিতা করে চলেছে। বাংলার উন্নয়ন নিয়ে দিল্লিতে বসে কুটকাচালি করছে। বাংলার খেয়ে দিল্লিকে বলছে বাংলাকেই টাকা দিও না।''
আরও পড়ুন- দুর্নীতি ইস্যু: বারংবার ভুল তত্ত্বেই জোর মমতার
কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দিলেও রাজ্য নিজের খরচ নিজেই জোগাড় করতে পারবে বলে এদিন আবারও দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''আমার বয়েই গেছে দিল্লির টাকা নিতে। বাংলা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। আত্মসম্মান কেড়ে নিতে দেব না। এটা আমরা রক্ষা করব। দিল্লিকে মনে রাখতে হবে বাংলার আত্মমসম্মান বড় সম্পদ। কিছু মানুষ সারাক্ষণ চক্রান্ত করছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে।''
এরই পাশাপাশি রাজ্যে একাধিক দুর্নীতি ইস্যুতেও এদিন ফের মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 'ভুল করলে শুধরে নিতে হবে।' সরকারি অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে আবারও বিরোধীদের লাগাতার সমালোচনাকে কার্যত ধুয়ে দিয়ে এদিন এই মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, 'কাজ করতে গেলে ভুল তো হয়। রাস্তায় হাঁটতে গেলে হোঁচট খাই না? যদিও কোনও ভুলভ্রান্তি কেউ করে সেটা শুধরে নেওয়া হবে।'