দুর্গাপুজোর মতো দীপাবলিও গারদেই কাটবে এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত 'অপা'কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এ দিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে জামিনের জন্য আবেদন জানাননি।
ভার্চুয়ালভাবে বুধবার আদালতে পেশ করা হয়েছিল পার্থ, অর্পিতাকে। জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। যকোনও শর্তের বিনিময়ে জামিনের আবেদন করা হয়। এর বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। পার্থবাবু নিজের স্বাস্থ্যের কথা বিচারকের কাছে তুলে ধরেন। পাল্টা বিচারক জানতে চান, জেলে কী চিকিৎসার সুবিধা পাচ্ছেন না? সেটা পাচ্ছেন। অন্যদিকে, অর্পিতাও জানান, তিনি তাঁর ৭৫ বছর বয়সী মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান। মায়ের বয়স ৭৫ বছর। কিন্তু পার্থর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। এরপরই একমাসের বেশি সময় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এসএসসি দুর্নীতি মামালায় গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ওই দিনই তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডির গোয়েন্দারা। তাঁকেও পাকড়াও করা হয়। এরপর একাধিকবার তাঁরা জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়। পার্থ নিজে দাবি করেছেন, দুর্নীতি বা উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে অর্পিতা নাকি বয়ানে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে দাবি করেছেন উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি নগদ পার্থবাবুরই। গোয়েন্দারা আদালতে জানান, এঁদের জামিন হলে মামলার প্রমাণ নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে লোপাট করে দিতে পারেন।
বুধবার ইডির আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত 'অপা'র সম্পত্তির পরিমাণ ইতিমধ্যেই ১৫০ কোটি পেরিয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন ৩০-৪০ কোটির সম্পত্তির হদিশ মিলছে। আরও দুটি সংস্থার সন্ধান মিলেছে। আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা চার্জশিটে জানিয়েছিল, 'অপা'র স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ১০০ কোটির বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।