Sandeshkhali Unrest: এখনও অধরা শেখ শাহজাহান। সম্প্রতি তার ভাই সিরাজউদ্দিনকে নিয়েও দ্বীপাঞ্চলের জনরোষ বিপুলভাবে বেড়েছে। সব মিলিয়ে অশান্ত সন্দেশখালিতে ক্ষোভের আগুন যেন নিভছেই না। পরিস্থিতি এমনই য়ে বাচ্চাদের নিয়ে ঘরে থাকতেও আশঙ্কায় ভুগছেন বাবা-মায়েরাষ। লাটে উটেছে লেখাপড়া। আর তাই বাধ্য হয়েই বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখতে কঠিন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সন্দেশখালির বেশ কয়েকটি পরিবার।
অশান্তির আঁচ যাতে বাচ্চাদের গায়ে না লাগে তার জন্য সন্দেশখালির বেস কিছু বাচ্চাদের নিয়ে রূপনারায়ন নদী পেরিয়ে পড়শি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে পাঠিয়ে দিয়েছেন বাবা-মায়েরা। সেখানে স্কুলেও তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে। মহিষাদল ব্লকের নাটশাল- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম। সম্প্রতি সেই আশ্রমেই সন্দেশখালির বেশ কয়েকজন বাচ্চা আবাসিক পড়ুয়া হিসেবে ভর্তি হয়েছে।
ওই বাচ্চারা নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে থেকে স্থানীয় নাটশাল হাইস্কুলে পড়াশোনা করছে। বাড়ি ছেড়ে এখানে পড়াশোনা করলেও এলাকার অশান্তি ও পরিবারের লোকজনদের কথা ভেবে খুব চিন্তায় ও ভয়ে রয়েছে তারাও।
সন্দেশখালি থেকে মহিষাদলে আসা সেই পড়ুয়ারা।
নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সভাপতি শুভজিৎ মাইতি বলেন, "উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতেও রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের শাখা রয়েছে। সেখান থেকেই কয়েকজন এখানকার আশ্রমে আবাসিক হিসেবে থাকার জন্য আবেদন করেছিল। পরিকাঠামো মেনে আমরা ৯ জনকে রাখতে পেরেছি। তারা আবাসিক হিসেবে থাকছে এবং পাশে নাটশাল হাইস্কুলে পড়াশোনা করছে। সন্দেশখালির অশান্তির কারণেই এখানে পরিবারের লোক পাঠিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছি আমরা। অনেকে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সকলকে আমরা নিতে পারিনি।"
আরও পড়ুন- Digha: পর্যটকদের কথা ভেবেই দুরন্ত সিদ্ধান্ত! এবার অফুরান উচ্ছ্বাসে ভাসুন দিঘায়
অন্যদিকে, নাটশাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিপ্রনারায়ণ পন্ডা বলেন, "বর্তমান শিক্ষাবর্ষে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৩০ জন টিসি নিয়ে এসে আমাদের স্কুলে ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে ৭ জন সন্দেশখালির। সরকারি নিয়ম রয়েছে টিসি নিয়ে যারা পড়াশোনার জন্য আসবে তাদের স্কুলে ভর্তি করা হবে। তাই আমরা আবেদন অনুযায়ী ভর্তি করিয়েছি। ওরা সকলেই নাটশাল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে থেকেই পড়াশোনা করছে। সাংবাদ মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি সন্দেশখালিতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তারই জেরে বাড়ির বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখতেই পরিবারের লোকেরা এই পথ অবলম্বন করেছেন।"