Rath Carnival: রথের কার্নিভাল ঘিরে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস, বর্ণাঢ্য আয়োজনে রঙিন বাংলার এই প্রান্ত
Rath Carnival: রথের এই কার্নিভাল ঘিরে এই জেলার এপ্রান্তে উৎসবের মেজাজ ধরা পড়ে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তো বটেই এমনকী ভিনজেলা থেকেও বহু মানুষ এসে ভিড় জমান এই এলাকায়। ৯ দিন ধরে ধুমধাম করে চলে পুজো-পাঠ। থাকে পংক্তিভোজনের ব্যবস্থা। এককথায় উল্টোরথের পরের দিনের এই রথের কার্নিভালকে কেন্দ্র করে এক অভূতপূর্ব আয়োজন নজর কাড়ে।
Rath Carnival: রথের এই কার্নিভাল ঘিরে এই জেলার এপ্রান্তে উৎসবের মেজাজ ধরা পড়ে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তো বটেই এমনকী ভিনজেলা থেকেও বহু মানুষ এসে ভিড় জমান এই এলাকায়। ৯ দিন ধরে ধুমধাম করে চলে পুজো-পাঠ। থাকে পংক্তিভোজনের ব্যবস্থা। এককথায় উল্টোরথের পরের দিনের এই রথের কার্নিভালকে কেন্দ্র করে এক অভূতপূর্ব আয়োজন নজর কাড়ে।
Rath Carnival 2024: মালদার গাজোলে রথের কার্নিভাল দেখতে উপচে পড়ল মানুষের ভিড়। সারি দিয়ে ১১টি রথের সাজানো কার্নিভাল চলল গাজোলের রাজপথে। মঙ্গলবার বিকেল থেকেই শুরু হয় জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি থেকে বিদায় বেলার রথের কার্নিভাল। যা দেখতে মালদার পাশাপাশি আশেপাশের জেলা থেকেও বহু মানুষ এসেছিলেন গাজোলে।
Advertisment
মূলত গাজোল ব্লকের নয়াপাড়া এলাকার রায় বাড়ীর সদস্যদের উদ্যোগেই ১১টি রথের কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই পাশাপাশি ভক্তদের জন্য পংক্তিভোজনের আয়োজন করা হয়। কয়েক হাজার মানুষ এদিনের এই পংক্তিভোজনে সামিল হন। আগামী ৯ দিন ধরেই রথ কার্নিভাল উপলক্ষে গাজোলের জগন্নাথ দেবের পুজো এবং মহাভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজোল ব্লকের নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত দুলার রায় ২৫ বছর আগে পুরীর রথ যাত্রা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানকার রথযাত্রা অনুষ্ঠান দেখে সেই মতো তিনি মালদার গাজোলের বাসভবনে গুন্ডিচি মন্দির তৈরি করেন। সেখানে প্রথমে একটি রথ আসতো। এরপর জগন্নাথ, শুভদ্রা ও বলরামের পুজো শুরু হয়। বেশ কয়েক বছর এইভাবে রথযাত্রা অনুষ্ঠান চলতে থাকে। এরপর গাজোলের অন্যান্য রথ কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় সমস্ত রথ সোজা রথে গুন্ডিচি মন্দিরে আসবে।
এরপর সেখানে মন্দিরে ৯দিন ধরে পুজো হবে।প্রতিদিন দুই বেলা গাজোলের বাসিন্দারা অন্ন গ্রহন করবে। এখনও পরিবারের পুরনো ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন তাঁর ছেলে বিধান রায়। এখনও প্রথা মেনে উল্টো রথ যাত্রার আগের দিন নিরামিষ ভাত, ডাল, সব্জি বিশেষ করে কচু শাক খাওয়ানো হয় ভক্তদের। এরপর পায়েস ও রকমারি মিষ্টির পালাও রয়েছে।
গাজোলের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ২৫ বছর ধরে তাঁরা ১১টি রথের মাসির বাড়ি করেছে গুন্ডিচি মন্দিরকে। ১১টি জগন্নাথের পুজো হয় এই মন্দিরে। জগন্নাথ দেবের সাথে কচুর শাকের একটি বিশেষ ব্যাপার রয়েছে। ফলে আহারে প্রতিপাতে কচু শাক দেওয়া হয়। তাঁরা সকলে মিলে ৯ দিন এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
রথ যাত্রার কার্নিভাল উৎসবের আয়োজক বিধান রায় বলেন, "২৫ বছর থেকে ১১টি রথ নিয়ে গাজোলে কার্নিভাল হয়। এই রথের কার্নিভালে যোগ দেন শুধু মালদা জেলার নয় পার্শবর্তী দুই দিনাজপুর সহ কলকাতার বহু মানুষ। ৯ দিন ধরে ধুমধাম করে করে পুজো পাঠ। দু'বেলা অন্ন আহারের ব্যবস্থা থাকে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ এই আহারে অংশ গ্রহণ করেন।"