অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর কন্যা সুকন্যার সঙ্গে দেখা করতে তিহাড় জেলে যাচ্ছেন তৃণমূলের সাংসদরা। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই দিল্লির তিহাড়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ। দোলা সেন, অসিত মালরা কথা বলবেন অনুব্রত ও সুকন্যার সঙ্গে। দল তাঁদের পাশে আছে, এই বার্তা দিতেই বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূলের সাংসদরা।
কিছুতেই মিলছে না জামিন। গতকালই ফের এক দফায় সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত। দিল্লিতে যাওয়ার পর থেকে ২ মাসেরও বেশি জেলবন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল নিজে। একাধিকবার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। এমনকী তিহাড় থেকে ফের আসানসোল জেলে ফিরতে চেয়েও করেছেন আবেদন। কেষ্টর কোনও আবেদনই কানে তোলেনি আদালত।
আরও পড়ুন- ঘরভর্তি মাছরাঙা-তিতিরের ছাল! ঢুকেই চোখ ছানাবড়া বনকর্মীদের
দিল্লি গিয়ে ইডির দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা। শেষমেশ তাঁকেও জেলে পুরেছে ইডি। সুকন্যাও জামিনের আবেদন করেছেন। তবে তাঁর সেই আবেদনও নাকচ হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের পাশে আছে দল, সূত্রের খবর এই বার্তা দিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তিহাড়ে অসিত মাল, দোলা সেনরা।
আরও পড়ুন- শুকনো হাওয়া গিলে খাচ্ছে বাংলাকে, সহ্যের সীমা ছাড়াচ্ছে গরম! স্বস্তির বৃষ্টি কবে?
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দল দূরত্ব তৈরি করলেও কেষ্টর পাশে আছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তিহাড়ে থাকাকালীন বেশ কয়েকবার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে কেষ্টর। দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। শেষমেশ ফের তিহাড় জেলেই তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, অনুব্রতর শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন তৃণমূলের সাংসদরা। এরই পাশাপাশি কেষ্ট-কন্যা সুকন্যাকেও আশ্বস্ত করতে দলের তরফে পাঠানো হয়েছে দুই সাংসদকে।