বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ দিচ্ছে না মোদী সরকার। বারে বারে চিঠি দিয়েও কাজের কাজ হচ্ছে না। প্রায়ই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকারের এই বঞ্চনার জেরে অর্থের অভাবে রাজ্য সরকার বাংলার একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প চালিয়ে যেতে বাধা পাচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে নবান্নের তরফে। কয়েক সপ্তাহহ আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বকেয়া পাওনার দাবিতে সাক্ষাৎ করেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীকে বকেয়া পাওনার সব হিসাবও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সমগ্র শিক্ষা মিশনের প্রসঙ্গও ছিল। এইসব টানাপোড়েনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোষাগারে ঢুকেছে কেন্দ্রের প্রাপ্য বকেয়া অর্থ।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রাপ্য ৯৫০ কোটি টাকা বাংলাকে দিয়েছে মোদী সরকার। স্কুল শিক্ষা দফতরের অধীনে সমগ্র শিক্ষা মিশন খাতে এই অর্থ পাঠানো হয়েছে। প্রায় ৫ মাস টালবাহানার পর এই অর্থ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সমগ্র শিক্ষা মিশন কী?
এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় স্কুল ভবন, ক্লাস রুম তৈরি সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হয়। কিন্তু, সমগ্র শিক্ষা মিশনের বকেয়া পাওনা বন্ধ থাকায় জেলাস্তরে নতুন শ্রেণি কক্ষ বা স্কুল নির্মাণের কাজ আটকে যায় বলে রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে। তবে, বকেয়া ৯৫০ কোটি টাকা মেলায় কিছুটা স্বস্তি বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন- রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ: এখন কী করা উচিত? যুক্তি দিলেন মমতার মন্ত্রী
পঞ্চদশ অর্থকমিশনের সুপারিশক্রমে সমগ্র শিক্ষা মিশন প্রকল্পের ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ দেয় রাজ্য সরকার। যদিও প্রশাসনিক খরচ সহ অন্যান্য ব্যয় মিটিয়ে রাজ্যের আরও বেশি অর্থই খরচ হয়ে থাকে।
বকেয়া প্রাপ্য নিয়ে কেন্দ্র বিরোধী নবান্নের শত অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকে যাতে মোদী সরকার আর অর্থ না দেয় তার জন্য দরবার করা হবে। বিরোদী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিকবার এই দাবি করেছেন। গেরুয়া বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের মুখেও এ কথা শোনা গিয়েছে। বাংলার বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় অর্থের কোনও হিসাব নবান্ন দেয় না। এক খাতের ঠাকা অন্য খাতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, দাবি যে, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে তা রাজ্য সরকারি প্রকল্প বলে চালাচ্ছে তৃণমূল সরকার। কিন্তু, শুভেন্দুদের হুঙ্কার যে কাজে এল না তা কেন্দ্রের বাংলাকে অর্থ পাঠানোয় স্পষ্ট হল।
আরও পড়ুন- ‘বাঘ অনুব্রত বেরলেই শিয়ালরা লেজ গুটিয়ে পালাবে’, বীরভূমে জোর হুঙ্কার ফিরহাদের