New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/06/x9H9BsGx1fFrumvO8o0y.jpg)
প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।
SLST employees demands makes controvery: গত বছর ২৭ ডিসেম্বর পথে নেমেছিলেন SLST চাকরিজীবীরা। যোগ্য-অযোগ্য বাছতে সরকারের কাছ থেকে দাবি আদায় করতে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে লাগাতার ধরনা করেছেন শিক্ষকরা। সরকারের কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার, এসএলএসটি শিক্ষকরা ময়দান চত্বরে জমা হয়েছিলেন। তাঁরা কালীঘাট অভিযানে শুরু করার সময় পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে। ধস্তাধস্তি চলে শিক্ষকদের সঙ্গে, টেনে-হিঁচড়ে শিক্ষকদের পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়।
এর আগেও শিক্ষকরা বারে বারে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিল যোগ্য-অযোগ্য পৃথক করতে। কিন্তু আদালতে এখনও অবধি সরকারের সদর্থক ভূমিকা দেখতে পাননি শিক্ষকরা। ফের এই দাবিতেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাতে কালীঘাট অভিযান শুরু করে ২০১৬-এর শিক্ষকরা। যোগ্য অযোগ্য পৃথক না করলে কর্মরত যোগ্য শিক্ষকরাও চাকরি নিয়ে আশঙ্কা দেখছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষক প্রতাপ রায় চৌধুরী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "আমরা মনে করছি যাঁরা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছে তাঁরা সরকারকে হুমকি দিয়েছে। বলেছে আমাদের চাকরি যদি চলে যায় তাহলে আমরা যাকে যাকে বান্ডিল দিয়েছি সব ফাঁস করে দেব। সরকার সেই আশঙ্কাতেই তাঁদের চাকরি বহাল রাখতে চাইছে। নইলে বৈধ ও অবৈধ সবাইকে নিয়ে ডুববে কেন? থাকলে সবাই থাকুক নইলে সবাই চলে যাক। তাই আমরা আজ কালীঘাট অভিযানের জন্য ময়দানে সমবেত হয়েছিলাম। সেখানে আমাদের একটা দলকে হেস্টিংস থানায় তুলে নিয়ে এসেছে। ওখানে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।"
এখন দাবি কী?
আন্দোলনকারী প্রতাপ রায় চৌধুরী বলেন, "শিক্ষা দফতর, স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, এই তিনটে দফতর এক টেবিলে বসুক। যাঁরা অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছে তাঁদের সঠিক তালিকার হিসেবটা মেলাক। তারপর ১০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে জানাক। এটাই মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে আমাদের কালীঘাট অভিযান। অভিযান তো দূরের কথা আমাদের রোখার চেষ্টা চলছে। সরকার চাইছে অযোগ্যদের বাঁচাতে। অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য সবাইকে বলি দিতে চাইছে।"
আরও পড়ুন- Madhyamik: দিন কয়েক পরেই শুরু মাধ্যমিক, নজরদার শিক্ষকদের জন্য নয়া নির্দেশিকা পর্ষদের
মোট যোগ্য, অযোগ্য শিক্ষক কতজন?
প্রতাপ রায় চৌধুরী বলেন, "সিবিআইয়ের ফাইনাল চার্জশিট অনুযায়ী, আমারা ১৫,৪০৩জন বৈধ শিক্ষক। অন্যদিকে ১৮০৩জন অবৈধ শিক্ষক। কেন রাজ্য সরকার তালিকা মেলাচ্ছে না। আমরা তো সর্বনাশের গন্ধ পাচ্ছি।" আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। সেই শুনানিতে রাজ্য সরকার অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করুক এটাই মূলত দাবি আন্দোলনকারী শিক্ষকদের।