Bengal Weather Today: এখনই জাঁকিয়ে শীত পড়ছে না বঙ্গে। রবিবার স্পষ্ট করে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মধ্য ডিসেম্বরের আগে এই রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই। এমনটাই জানানো হয়েছে। তবে কালীপুজোর দিন থেকে রাত বাড়লে এবং ভোরের দিকে ঠাণ্ডা ভাব অনুভূত হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। রাজ্যে উত্তুরে হাওয়ার আগমনেই এই পরিবেশ। এমনটাই হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, এখন রাতের দিকে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২-৩ ডিগ্রি কম। আগামি কয়েকদিন এই আবহাওয়া অনুভূত হবে বঙ্গে।
সকাল থাকবে রোদ ঝলমলে। এই মুহূর্তে নিম্নচাপ কিংবা বৃষ্টির ভ্রূকুটি নেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। আলিপুর সূত্রে খবর, ১০ নভেম্বরের মধ্যে এই পারদ পতন এর আগে ২০১৬ সালে দেখা গিয়েছিল। তার আগে ২০০৫ সালে। এই দুই বছর ১০ নভেম্বরের মধ্যেই ২০ ডিগ্রির নীচে নেমছিল পারদ।
এদিকে, শনিবার রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই। রাতভর একটানা বৃষ্টির জেরে শহর চেন্নাই এবং শহরতলির বেশিরভাগ এলাকায় জল জমে গিয়েছে। সাইদাপেট, ভেলাচেরি, আদমবাক্কাম, মাদিপাক্কাম এবং পশ্চিম মাম্বালামের কিছু এলাকায় রাস্তায় ২-৩ ফুট পর্যন্ত জল জমে রয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামী সোম ও মঙ্গলবার চেন্নাইয়ের সব স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের।
এক রাতের বৃষ্টিতেই চেন্নাইয়ে কার্যত বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চেন্নাই এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছে। রবিবার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এরপরেই চেন্নাই, চেঙ্গালপাট্টু, কাঞ্চিপুরম এবং তিরুভাল্লুর জেলার আশেপাশের স্কুল এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী দু’দিন বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।
টানা বৃষ্টির জেরে চেন্নাই শহরের বেশ কিছু সাবওয়েতেও কয়েক ফুট পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে। শহর ও আশেপাশের বহু বাড়িতেও জল ঢুকে গিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় দুর্গত এলাকাগুলি থেকে মানুষজনকে অন্যত্র সরানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জলমগ্ন এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ আপাতত বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের চারটি দল জলমগ্ন এলাকাগুলিতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। দুর্গত এলাকা থেকে মানুষজনকে সরানোর কাজ করছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
রবিবার তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন, মুখ্যসচিব ভি ইরাই আনবু-সহ প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েকটি জলমগ্ন এাকা পরিদর্শন করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত জল বের করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে একটানা ভারী বৃষ্টির জেরে চেন্নাইয়ের তিনটি জলাধারের জলস্তরও বিপদসীমা ছুঁয়েছে।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখনটেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন