পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার হার বেড়েছে না কমেছে এই প্রসঙ্গে নানান প্রশ্ন থেকে যায়। বিগত দুই বছরে করোনা মহামারীর কারণে, শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে অনেক পড়ুয়া। কেউ কেউ অভাবে অনটনে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্যও হয়েছেন।
তবে, ASER সার্ভের মাধ্যমে মিলিত তথ্যে নির্দিষ্ট বয়স এবং ছেলে মেয়েদের মধ্যে যে পার্থক্য পাওয়া গেছে তাতে জানা গেছে, ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সের ছেলেদের মধ্যে স্কুলে ভর্তি হওয়ার মাত্রা কম। সেখানে মেয়েদের সামান্য বেশি। তুলনামূলক ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছেলেরা স্কুলের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহী। ২০১৮ সালে সেই মাত্রা ছিল ১৯.২ সেটি ২০২২ সালে হয়েছে ৭.৪। মেয়েদের মাত্রা ৪.৮ থেকে কমে হয়েছে ২.৬। পশ্চিমবঙ্গে এই মাত্রা সত্যিই আকর্ষণীয়।
আরও পড়ুন < উচ্চ-মাধ্যমিক এবং কলেজের পর কেরিয়ার নিয়ে চিন্তিত? IGNOU-হতে পারে মুশকিল আসান >
পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়াদের মধ্যে বরাবরই প্রাইভেট টিউশনের চাহিদা বিদ্যমান। একটা নয় বরং দুই তিনজন প্রাইভেট টিউটরও রয়েছে বেশ কিছু ছাত্রের। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট টিউশনের চাহিদা খুব বেশি। শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। বেসরকারি স্কুলে ভর্তির চাহিদা এক্ষেত্রে খুব কম কিন্তু প্রাইভেট টিউশনের মাত্রা খুব বেশি। পশ্চিমবঙ্গের পরেই রয়েছে বিহার।
তাঁর সঙ্গে ক্রমাগতই বৃদ্ধি পাচ্ছে ছাত্রদের শেখার মাত্রা। তাঁরা ভাল গ্রেডের সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজি বুঝতে এবং পড়তে শুরু করেছে, সেই মাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। রিপোর্টে আরও জানা গেছে ২০১০ সালের পর থেকে RTE এর মাত্রা অনেকটা বেড়েছে। প্রায় ৮২ শতাংশ স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে তাদের প্রাক প্রাথমিক বিভাগ রয়েছে তার মধ্যে কেবলমাত্র ৭.৮ শতাংশ স্কুলের আলাদা শিক্ষক রয়েছে।