/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/period.-end-of-sentence-759.jpg)
অস্কারের সেরা পাঁচে ঋতুস্রাব নিয়ে তৈরি সিনেমা। একানব্বইতম অ্যাকাডেমি পুরস্কারের 'ডকুমেন্টারি শর্ট সাবজেক্ট' বিভাগে মনোনীত হল গ্রামীণ ভারতে মহিলাদের ঋতুস্রাব নিয়ে নির্মীত সিনেমা 'পিরিয়ড. এন্ড অফ সেনটেন্স'। একদিকে যখন শতাব্দী প্রাচীন লিঙ্গ বৈষম্যের রীতিতে আস্থা রেখে চলা শবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া ঘিরে উত্তাল হয়েছে কেরালা, ঠিক তখনই এই ছবির মনোনয়ন বিশেষ আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। পুরস্কার বিজয়ী পরিচালক রায়কা জেহতাবচি এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন।
We all made it happen! @RAYning@melissaberton@lisataback@StaceySher@Garrettschiff@douglasblush@mesopystic@samdavisdp and all the young girls who saw this dream from Oakwood school !! This is so EPIC !! https://t.co/haFDm5qcEm
— Guneet Monga (@guneetm) January 22, 2019
আরও পড়ুন, #মিটু-র ঝামেলায় পড়তে চান না নওয়াজউদ্দিন
লস অ্যাঞ্জেলেসের ওয়কউড স্কুলের শিক্ষিকা মেলিসা বার্টন ও পড়ুয়াদের প্যাড প্রজেক্টের অংশ হিসাবে প্রাথমিকভাবে প্রকাশ্যে আসে 'পিরিয়ড. এন্ড অফ সেনটেন্স'। সিনেমাটির প্রেক্ষাপট দিল্লির অদূরে হাপুর গ্রামের মেয়েদের সংগ্রাম। ঋতুস্রাবের বিষয়ে বদ্ধমূল কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কার্যত বিপ্লব ঘটিয়েছেন হাপুরের মেয়েরা। কয়েক প্রজন্ম ধরে এই গ্রামের মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এর ফলে রীতিমতো স্বাস্থ্যহানির শিকার হয়েছেন গ্রাম্য মহিলারা। এমনকি, এই কুসংস্কারের ফলে কিশোরীদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রেও নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। এরপর হাপুর গ্রামে হঠাৎ একটি স্যানিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়। বলতে গেলে এই যন্ত্রই চোখ খুলে দেয় গ্রামের মেয়েদের। স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিষয়ে ক্রমশ সচেতনতা বাড়তে থাকে মেয়েদের মধ্যে। এরপরই প্যাড তৈরি করে তা বাজারজাত করার কাজে মন দেন মহিলারা। তাঁদের এই পণ্যের নাম হয় 'ফ্লাই'। এই সফল উড়ানে খুব তাড়াতাড়ি গ্রামীণ অর্থনীতিতে আসতে থাকে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। সামগ্রিকভাবে এই গল্পই বলেছে 'পিরিয়ড. এন্ড অফ সেনটেন্স'।
এবারের অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট বিভাগে স্থান পেয়েছে আরও বেশ কিছু তথ্যচিত্র। সেই সিনেমাগুলির মধ্যে অন্যতম 'ব্ল্যাক শিপ', 'এন্ড গেম', 'লাইফ বোট', 'এ নাইট অ্যাট দ্য গার্ডেন'।
Read the full story in English