Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

#MeToo: অনু মালিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আলিশা চিনয়

১৯৯৫ সালে অনু মালিকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন আলিশা নিজেই। যার ফলে দীর্ঘদিন অনুর সঙ্গে কাজ করেন নি তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বর্তমানে মি টু নিয়ে সরগরম স্যোশাল মিডিয়া, সামনে এসেছে একাধিক তারকার নাম। উচ্চপদস্থ সাংবাদিক থাকে গায়ক, অভিনেতা অনেকেই রয়েছেন এই তালিকায়। এরমধ্যে রয়েছে  বিখ্যাত সঙ্গীতকার অনু মালিকর নামও। ইতিমধ্যেই একাধিক যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে অনু মালিকের বিরুদ্ধে। ওড়িশার সঙ্গীতশিল্পী সোনা মহাপাত্র এবং যশরাজের নাতনি শ্বেতা পণ্ডিত অনু মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন। এ ছাড়াও রয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও এক মহিলা। আর এই আগুনে কার্যত ঘি ঢাললেন সঙ্গীত শিল্পী আলিশা চিনয়।

Advertisment

ডেকান ক্রনিকালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, আলিশা বলেন, ''অনু মালিকের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগই সত্যি।'' পাশিপাশি তিনি আরও জানান, যে সমস্ত মহিলারা অবশেষে অনুর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পেরেছেন তাঁদের পাশেই রয়েছেন আলিশা, এমনকি তিনি মনে করছে এবার ওই সমস্ত নিগৃহীতা মহিলা শান্তিতে জীবনযাপন করতে পারবেন। যদিও এ সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন অনু মালিকের আইনজীবী। তিনি জানান, মি টু-এর মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন #MeToo: ইন্ডিয়ান আইডল থেকে নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন, বললেন অনু মালিক

প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে অনু মালিকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন আলিশা নিজেই। যার ফলে দীর্ঘদিন অনুর সঙ্গে কাজ করেন নি তিনি। যার প্রভাব পড়েছিল অনু মালিকের কর্মজীবনেও। অনেকদিনই বলিউডে কাজ পাননি অনু। জানা যায়, এই সময় মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।

অনু মালিকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রসঙ্গে, এক সুরকার জানিয়েছেন, বাড়িতে স্ত্রী এবং সন্তানের উপস্থিতিতেও একাধিকবার এমন অভব্য আচরণ করেছেন অনু। শুধু তাই নয়, একাধিক অভিযোগের পরও সাজিদ খান, সাজিদ নাদিদওয়ালা, জে পি দত্ত, গুলজার ও রাকেশ মেহেরার মতো প্রযোজক এবং পরিচালকদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ওই সুরকার আরও জানান, আমান মালিক এবং আরমান মালিকও এই বিষয়ে জানতেন, এমনকি তাঁরা এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথাও বলতেন, তবে প্রকাশ্যে কিছুই স্বীকার করেননি তাঁরা।

প্রসঙ্গত, রিয়ালিটি শো ইন্ডিয়ান আইডল সিজন টেনের বিচারকের আসন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অনু মালিক। অনু মালিকের বক্তব্য, যৌন হেনস্থার অভিযোগ আসার পর তিনি কাজে মনোযোগ দিতে পারছিলেন না। ফলে তিনিই চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, তাঁর একটা ব্রেক লাগবে।

Advertisment