তামিলনাড়ুতে পরিযায়ী শ্রমিকদের লাঞ্ছিত হওয়ার খবর দক্ষিণের এই রাজ্যের উৎপাদনকারী বিভিন্ন শিল্প সংস্থার মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সরকারি আধিকারিকরা খোঁজখবর নেওয়ার পর জানিয়েছেন, এটা সম্পূর্ণ ভুয়ো খবর। গোটাটাই স্রেফ গুজব। তাঁরা রাজনৈতিক নেতা এবং প্রশাসনের কর্মীদের কাছে গুজবে কান না-দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তামিলনাড়ুতে আধিকারিকদের পাঠিয়েছে বিহার ও ঝাড়খণ্ড। কারণ, যে শ্রমিকদের লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা বিহার ও ঝাড়খণ্ডের শ্রমিক।
পরিযায়ী শ্রমিকরা সমস্যায়
দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু বলে নয়। দেশের বিভিন্ন অংশেই দিনের পর দিন পরিযায়ী শ্রমিকরা নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন। আর, সেই সব সমস্যা নিয়েই তাঁদের দিন কাটাতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় সমস্যা, তাঁদের সম্পর্কে রাজ্যগুলোর কাছে কোনও তথ্য নেই। যার ফলে, পরিযায়ী শ্রমিকরা যখন সমস্যায় পড়ছেন, তখন তাঁরা কোথায় রয়েছেন, তাঁরা আসলে কে, এই সব ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারে থাকছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। যার ফলে বিপদের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের তাঁরা কোনওরকম সাহায্য করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন- বাড়িতে গিয়েও পেল না, ইমরান খানকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ, কিন্তু কেন?
পরিযায়ী শ্রমিক আইন
আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক আইন, ১৯৭৯-এ শ্রমিক কল্যাণের কথা বলা আছে। এই আইন বলেছে, কোনও সংস্থা যদি পরিযায়ী শ্রমিককে কাজে লাগাতে চায়, তবে তাকে আগে নিজের রাজ্যে নথিভুক্ত হতে হবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঠিকাদারদের ক্ষেত্রে তাঁদের নিজের রাজ্যের কর্তৃপক্ষের থেকেও লাইসেন্স নিতে হবে। পাশাপাশি, যে রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের জন্য নিয়ে আসছে, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সেই রাজ্যের লাইসেন্সও থাকতে হবে।
স্রেফ খাতায়-কলমে
যদিও বহুক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে যে এই আইন স্রেফ খাতায় কলমেই রয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই আইন ২০১৯ সালে বিজ্ঞাপিত মজুরি সংক্রান্ত বিধি, ২০২০ সালের শিল্প সংক্রান্ত বিধি, সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধি এবং পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কাজের শর্তাবলি সংক্রান্ত বিধিতেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যদিও এই বিধিগুলোর কোনওটাই এখনও পর্যন্ত কার্যকর হয়নি।