কেন্দ্রীয় সরকার আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিমান পরিষেবা ফের শুরু করার ব্যাপারে ঘোষণা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রক ইতিমধ্যেই বিমান সংস্থা, বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছেন যাতে বিমান চলাচল শুরু করা যায়।
বিমান চলাচল কবে শুরু হবে?
জানা গিয়েছে সরকার বিমান সংস্থাগুলিকে বলেছে, বিমান চলাচলে সবুজ সংকেত দেওয়ার আগে তাদের ও গ্রাহকদের বাণিজ্যিক ও প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির জন্য ১০ দিন সময় দেওয়া হবে। সরকারের বরিষ্ঠ আধিকারিক ও বিমান সংস্থাগুলি আশা করছে আগামী এক মাসের মধ্যে কোনও সময়ে বাণিজ্যিক ভাবে বিমান চলাচল শুরু হবে।
আরও পড়ুন, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বন্দিমুক্তি
বিমান কোন কোন গন্তব্যে যাবে?
মনে করা হচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে এয়ার ইন্ডিয়া আটকে পড়া যাত্রীদের ফিরিয়ে আনার জন্য দেশিয় রুটে বিমান চালাবে। বর্তমানে কেবলমা্ত্র বিদেশ আটকে পড়াদের জন্য এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। একবার এই পর্যায়ের কাজ মোটামুটি সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর অন্য বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলিকে গ্রিন জোনের মধ্যেকার বিমানবন্দরের মধ্যে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে সেরকম বিমানবন্দরের মধ্যে যাতায়াত করলে তা আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিমান সংস্থাগুলিষ দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, আমেদাবাদের মত যেসব জায়গায় যাত্রীর পরিমাণ বেশি, সেগুলি সবই রেড জোনের অন্তর্গত।
আন্তর্জাতিক রুটে বিমান কবে চলবে?
সরকার আপাতত জাতীয় স্তরে বিমান চলাচলের জন্য পরিকল্পনা নিয়েছে এবং আধিকারিকরা বলেছেন নির্দিষ্ট দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা হবে সেই রুটে বিমান চালানো হবে কিনা। স্বাভাবিকভাবেই, গন্তব্য দেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের যা মূল্যায়ন, তার উপর অনেকটা নির্ভর করবে অনুমতি।
আরও পড়ুন, ৩ সপ্তাহের কম সময়ে দেশে সংক্রমণ বেড়েছে ৩ গুণ
পরিস্থতি স্বাভাবিক হওয়ার পরেও কি উড়ানের নিয়মকানুন বদলাবে?
একটা বিস্তারিত সাধারণ ব্যবহার্য নিয়ম চালুর ব্যাপারে সরকার ও বিমান পরিবহণ শিল্পের মধ্যে আলোচনা চলছে, এবং প্রাথমিক ফিডব্যাক পাওয়ার পর, একাধিক নতুন নিয়মকানুন চালু হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিমানবন্দরে সোশাল ডিসট্যান্সিং তো থাকবেই, তা ছাড়া ন্যূনতম সংস্পর্শ ছাড়া সিকিউরিটি চেকিং, যাত্রী ও কর্মীদের পিপিই ও মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ও থাকবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার নতুন বিধিও চালু হতে চলেছে যার জেরে বিমানবন্দরে লাইন দীর্ঘতর হতে পারে এবং অপেক্ষার সময় বাড়তে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন