গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-র কাছে চিনা সেনার সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। তাঁদের মধ্যে একজন কর্নেলও ছিলেন। শহিদ বীর জওয়ানদের স্মৃতিতে এবার সৌধ তৈরি করল ভারতীয় সেনা। ওই স্মৃতিসৌধে শহিদ ২০ জন জওয়ানের নাম খোদাই করা থাকবে। সৌধটি ডারবুক-শায়ক-দৌলত বেগ ওল্ডি রোডে নির্মিত হয়েছে। সেদিনের নৃশংস ঘটনার বিবরণ লেখা রয়েছে বলে জানিয়েছে সেনা। সৌধের উপরে খোদাই করে লেখা রয়েছে, "গত ১৫ জুন কর্নেল বি সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বাধীন ১৬ বিহার রেজিমেন্ট পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-র কাছে চিনা ঘাঁটি উচ্ছেদ করতে গিয়ে সংঘর্ষে শহিদ হয়েছে।"
যেখানে সেদিন এই সংঘর্ষ হয়েছিল সেই ওয়াই নালা গালওয়ান নদীর পশ্চিম দিকে মোড় নিয়েছে। সৌধে আরও লেখা রয়েছে, সেনাবাহিনীর কলাম সাফল্যের সঙ্গে ওয়াই নালার কাছে অবস্থিত অস্থায়ী চিনা সেনার আউটপোস্ট উচ্ছেদ করে। তারপর পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-র কাছে ভারতীয় সেনার সঙ্গে লালফৌজের সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষে বি সন্তোষ সামনে দাঁড়িয়ে বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যার ফলে চিনা সেনারও অনেকে নিহত হয়।" স্মৃতিসৌধে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের গালওয়ানের বীর বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ১৯৭৫ সালে শেষবার সীমান্ত বিবাদ নিয়ে ভারত-চিনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। ৪৫ বছর পর আবার গত ১৫ জুন এমন ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন নজরে চিন-পাকিস্তান, সীমান্তে সেনার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করছে কেন্দ্র
যদিও চিন এখনও সরকারিভাবে সেই সংঘর্ষে কত সেনা মারা গিয়েছে তা নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। তবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগ সূত্রে খবর, চিন একজন কমান্ডিং অফিসার-সহ পাঁচ সেনার মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছে। সূত্রের খবর, সেদিনের সংঘর্ষ ভারতীয় ভূখণ্ডের ৮০০ মিটার ভিতরে হয়েছিল। পরে জুলাই মাসে দুই পক্ষই পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-র কাছ থেকে সেনা সরিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ফিরে যায়। এচা সম্ভব হয়েছ, দুই পক্ষের কমান্ডিং লেভেলে বৈঠকের পরই।
জানা গিয়েছে, সীমান্ত বিবাদ নিয়ে কমান্ডিং লেভেলে সপ্তম রাউন্ডের বৈঠক হওয়ার কথা আগামী সপ্তাহে। ভারতের তরফে চিনের কাছে সেনা পিছনোর বিষয়ে ঐক্যমতের কথা জানতে চাওয়া হয়েছে। দুই পক্ষই পূর্ব লাদাখে ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। শীতের জন্য বাড়তি সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে ভারত ও চিন।
আরও পড়ুন ভারত কোনওদিন LAC-কে স্বীকৃতি দেয়নি, জিনপিংয়ের মন্ত্রীকে পাল্টা বিদেশমন্ত্রকের
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন