মাওবাদী যোগ থাকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মানবাধিকারকর্মী গৌতম নওলাখা, সমাজকর্মী আনন্দ তেলটুম্বড়ে এবং স্টান স্বামীকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রেফতারি থেকে রেহাই দিল বম্বে হাইকোর্ট। ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্ত এই তিন ব্যক্তি এদিন তাঁদের বিরুদ্ধে মাওবাদী যোগ সংক্রান্ত পুণা পুলিশের এফআইআর খারিজ করার আবেদন জানিয়েছিলেন আদালতের কাছে। তারপরই গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচের এই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ।
চলতি বছরের ২৯ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভারভারা রাও, অরুণ ফেরেইরা, ভার্নন গঞ্জালভেস, সুধা ভরদ্বাজ এবং গৌতম নওলাখাকে গৃহবন্দি করা হয়। এলগার পরিষদ মামলার তদন্তের সূত্রে এই পাঁচ সমাজকর্মীর বাড়ি তল্লাশি করে পুলিশ। এর আগে ২৮ অক্টোবর গোয়া এবং রাঁচিতে যথাক্রমে আনন্দ তেলটুম্বড়ে এবং স্টান স্বামীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় পুলিশ, কিন্তু তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি।
পাঁচ সমাজকর্মীকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল সিপিআই (মাওবাদী) দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুণার এক এলাকায় মাওবাদীদের কিছু কর্মসূচি ছিল, আর এখানে এই পাঁচ সমাজকর্মীর যোগের প্রমাণও তারা পেয়েছে। তাদের আরও দাবি, এলগার পরিষদের মঞ্চে দেওয়া বেশ কিছু বক্তৃতা ১ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁও অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টিতে ইন্ধন যুগিয়েছিল। উল্লেখ্য, ওই দিন ভীমা-কোরেগাঁও যুদ্ধে গৌরবময় জয়ের দ্বিশতবর্ষ উদযাপনের উদ্দেশ্যে সমবেত হয়েছিলেন লক্ষাধিক দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ।
১ নভেম্বর পর্যন্ত এই সমাদকর্মীদের যাতে গ্রেফতার না করা হয়, তেমন নির্দেশই দিয়েছিল আদালত। স্টান স্বামীকে অবশ্য ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রেফতারি থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছিল। এদিন নওলাখার আইনজীবী যুগ মোহিত চৌধুরী আদালতে বলেন, পুণা পুলিশ দেশের খ্যাতনামা এবং মেধাবী ব্যক্তিদের কোনও প্রমাণ ছাড়াই গ্রেফতার করেছে।
উল্লেখ্য, অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, তারা এই মামলায় ঢুকবে না। পুলিশ তাদের তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এদিকে, গৃহবন্দিদশার চার সপ্তাহ পর ১ অক্টোবর দিল্লি হাইকোর্ট নওলাখাকে মুক্তি দেয়।
Read the full story in English