ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিতরং। সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। স্বভাবতই উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি সেই উদ্বেগ গোপনও রাখলেন না। মধ্য কলকাতায় কালীপুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'শুনেছি আমফানের চেয়েও এই ঘূর্ণিঝড়ের গতি বেশি। ২০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে। দিল্লি থেকে ফোন এসেছিল। আমরা সব ব্যবস্থা করেছি। প্রতিবারের মত এবারও কন্ট্রোল রুম থাকবে।'
বুধবারই বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজ্যে কালীপুজোর সময় অর্থাৎ ২৪ অক্টোবর ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সেকথা মাথায় রেখে তার পর চার দিন ২৫, ২৬, ২৭ ও ২৮ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত বিসর্জন সেরে ফেলতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্দামান সাগরে ইতিমধ্যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যা নিম্নচাপে পরিণত হবে শীঘ্রই। আর, আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে।
এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে আবহাওয়া দফতরও। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, সুস্পষ্ট নিম্নচাপ শনিবারই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। যা রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড় সিতরাঙের। এই অবস্থায় ঝড়ের গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখছে আবহাওয়া দফতর। একইসঙ্গে আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে যে শনিবার অর্থাৎ, ২২ অক্টোবর থেকে রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন- মোদীর দিওয়ালি উপহার, চাকরি পাবেন ৭৫ হাজার বেকার, শনিবারই প্রকল্পের সূচনা
পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ওই সময়ে নবান্নের কর্মীদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকী, যাঁরা ছুটিতে আছেন, তাঁদেরও ছুটি বাতিল করে ২২ অক্টোবরের মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। শুধু রাজ্যস্তরই নয়। একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাস্তরেও। মুখ্যসচিব দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবারই বৈঠক করেছেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। বৈঠকে ঝড়ের মোকাবিলায় সম্ভাব্য যাবতীয় ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।