Advertisment

মিজোরামের স্কুলে পড়তে পারবে মায়ানমারের শরণার্থী শিশুরা, ঘোষণা সরকারের

মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সীমান্ত পেরিয়ে বহু শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন মিজোরামে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বার্মিজ সেনার নির্যাতন থেকে বাঁচতে প্রাণ হাতে করে চলে এসেছেন ভারতে।

মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সীমান্ত পেরিয়ে বহু শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন মিজোরামে। বার্মিজ সেনার নির্যাতন থেকে বাঁচতে প্রাণ হাতে করে চলে এসেছেন ভারতে। শরণার্থী শিশুদের জন্য এবার বড় ঘোষণা করল মিজোরাম সরকার। শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া শিশুরা এবার মিজোরামের স্কুলে পড়াশোনা করতে পারবে।

Advertisment

স্কুলশিক্ষা দফতর থেকে সমস্ত জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার পাঠানো সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরিযায়ী ও শরণার্থী শিশুদের স্কুলে ভর্তি ও পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করতে। যাতে তারা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত। স্কুলশিক্ষা দফতরের অধিকর্তা জেমস লালরিনচানা সেই সার্কুলারে স্বাক্ষর করেছেন।

চিঠিতে উল্লেখ, ৬-১৪ বছরের বাচ্চাদের তাদের বয়স অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ক্লাসে ভর্তি করে পড়াশোনার ব্যবস্থা করতে হবে। রাজ্য সরকারের খতিয়ান অনুযায়ী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিজোরামে মায়ানমারের ৯,৪৫০ জন শরণার্থী বসবাস করছেন। তাঁদের মধ্যে ২০ জন বার্মিজ জনপ্রতিনিধিও রয়েছেন। রাজ্যের ১০টি জেলায় তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন। ইন্দো-মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত চমফাই জেলায় অন্তত ৪,৪৮৮ জন শরণার্থী রয়েছেন। তারপরেই রাজধানী আইজলে রয়েছে ১৬২২ জন শরণার্থী। কিছু দেশে ফিরেও গেছেন।

আরও পড়ুন বলতে হবে না ‘স্যর’ বা ‘ম্যাডাম’, দেশের মধ্যে ইতিহাস গড়ল এই গ্রাম পঞ্চায়েত

সূত্রের খবর, কিছু বার্মিজ সাংসদ সম্প্রতি মিজো শিক্ষা মন্ত্রী লালচান্দামা রালতের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে অনুরোধ করেছেন শরণার্থী শিশুদের জন্য কিছু ব্যবস্থা করতে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে লালরিনচানা বলেছেন, "মায়ানমারের শিশুদের সমস্যা সমাধান করতেই এই পদক্ষেপ। যতক্ষণ তারা ভারতীয় ভূখণ্ডে রয়েছে, এটা আমাদের দায়িত্ব ওদের দেখাশোনা করা। জীবনের উন্নতির পথে শিক্ষা থেকে তারা যাতে বঞ্চিত না হয় সেটা দেখতে হবে।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন  টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

myanmar Mizoram
Advertisment