বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে, দেশে নির্বাচিত প্রধানদের মতই সাংবিধানিক প্রধানদের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদী মুর্মু নির্বাচিত হলে, তা মোদী সরকারের পক্ষে লাভদায়ক হবে। এমনিতেই সংখ্যার হিসেব কষলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী যশবন্ত সিনহাকে ছাপিয়ে যাওয়ার কথা এনডিএ প্রার্থীর।
রাজ্যসভার মহাসচিব তথা রিটার্নিং অফিসারের কাছে ইতিমধ্যেই তিনি মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন। মনোনয়নপত্র পেশের সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা। শুধু মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত থাকাই না। মোদীই দ্রৌপদী মুর্মুর নাম রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে প্রথম প্রস্তাব করেন। নির্বাচিত হওয়ার পর দ্রৌপদী মুর্মুই হবেন দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি। যাকে 'ঐতিহাসিক' বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তাঁকে প্রার্থী করা থেকে তাঁর হয়ে যাবতীয় প্রচার চালানো, গোটা ব্যাপারটায় যেন রীতিমতো উঠেপড়ে লেগেছে এনডিএ। সেই তুলনায় প্রচার কম বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহার। যা বুঝিয়ে দিচ্ছে কার জয়ের সম্ভাবনা ঠিক কতটা। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তাঁরা রীতিমতো হিসেব কষেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন। যাতে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলো সেভাবে বিরোধিতা না-করে।
আরও পড়ুন- জামিন নাকচ, পুলিশ হেফাজতে Alt News-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জুবের
আর, এর সুবিধা তারা পাবে পরবর্তী ক্ষেত্রেও। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই নির্বাচন রয়েছে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের মতো গোবলয়ের রাজ্যগুলোয়। এই সব রাজ্যে ১২৮টি তপশিলি উপজাতি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। সেই আসনগুলোয় আদিবাসীদের ভোট যাতে বিজেপির ঝুলিতে ঢোকে, এনডিএর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হয়ে তা-ই যেন নিশ্চিত করে দিলেন আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদী মুর্মু।
শুধু বিধানসভা নির্বাচনই না। এক আদিবাসী মহিলার রাষ্ট্রপতি হওয়া প্রভাব ফেলবে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ আদিবাসী। অথচ, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের শীর্ষ সাংবিধানিক পদে বসতে আদিবাসীদের সাত দশক কেটে গেল।
Read full story in English