Assam-Mizoram Border Dispute: মানুষের মধ্যে ঘৃণা-অবিশ্বাস ছড়িয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর ফল গুণতে হচ্ছে প্রাণ দিয়ে। অসম-মিজোরাম সীমান্ত সংঘর্ষ প্রসঙ্গে এভাবেই সমালোচনায় সরব রাহুল গান্ধী। সোমবারের এই ঘটনায় দুই রাজ্যের পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন পুলিশকর্মী নিহত হয়েছেন। কয়েকজন স্থানীয় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। মিজোরাম সরকার এই সংঘর্ষের জন্য অসমের আগ্রাসন নীতিকে দায়ী করেছে। সেই অভিযোগ মানতে নারাজ হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার।
এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে তোপ দাগেন কংগ্রেস সাংসদ। সেই ট্যুইটে সংঘর্ষের একটি ভিডিও আপলোড করেছেন রাহুল। এদিকে, দীর্ঘদিনের সীমানা বিবাদ সোমবার চরম আকার নিল। আসাম-মিজোরাম সীমানা বিবাদের জেরে ব্যাপক সংঘর্ষ দিনভর। প্রাণ হারালেন পাঁচ আসাম পুলিশ কর্মী। জনা পঞ্চাশেক পুলিশ কর্মী ঘায়েল হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কাছার জেলার পুলিশ সুপার নিম্বালকর বৈভব চন্দ্রকান্ত। পায়ে গুলি লেগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
সীমানা বিবাদ নিয়ে সংঘর্ষের জেরে দুই পড়শি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা টুইটারে এক অপরের প্রতি দোষারোপ করেছেন। অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা ও আসামের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। হিমন্ত টুইট করে “পুলিশকর্মীদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। লিখেছেন, সাহসী পুলিশকর্মীদের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। সাংবিধানিক সীমানা রক্ষার কর্তব্য পালন করতে গিয়ে আত্মবলিদান দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।
আসাম সরকারের তরফে পরে পাঁচ পুলিশকর্মীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা টুইটে মিজো পুলিশকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, “স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে মিজোরাম পুলিশ লাইট মেশিন গান থেকে গুলি ছুঁড়েছে আসাম পুলিশ কর্মীদের উপর। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।” এদিকে, জোরামথাঙ্গা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, “গত একবছরে সীমান্তে কোনও গন্ডগোল ছিল না। কিন্তু কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করার পর আবার শুরু হয়েছে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন