করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতে। দৈনিক সংক্রমণ ফের লাগামছাড়া। এই অবস্থায় ভয় ধরাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমাবেশ। পাঁচ রাজ্যে ভোট যেমন একটা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কার কারণ, তেমনই উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে কুম্ভমেলাকে কেন্দ্র করেও উদ্বেগ বাড়ছে। পুণ্যার্থীদের ভিড়ের জেরে সংক্রমণ বাড়তে পারে, এই আশঙ্কায় রাজ্য সরকারকে কড়া নির্দেশ দিল কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক উত্তরাখণ্ড সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে বেশি করে টেস্টিং সেন্টার এবং পর্যাপ্ত ক্রিটিক্যাল কেয়ার পরিষেবার বন্দোবস্ত করতে হরিদ্বারে। স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখেছেন। তার আগে কেন্দ্রের গঠিত উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল রাজ্যের করোনা মোকাবিলা বন্দোবস্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র।
মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, এই মুহূর্তে দেশের ১২টি রাজ্যে করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। গত কয়েক সপ্তাহে হরিদ্বারে কুম্ভমেলা উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের ভিড়ও বাড়ছে। তাঁদের অনেকেই ওই ১২টি রাজ্য থেকে হরিদ্বারে জমায়েত করতে পারেন বলে কেন্দ্রের আশঙ্কা। কুম্ভমেলায় শাহী স্নানের সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার খবর পেয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
স্বাস্থ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট, গড়ে প্রত্যেক দিন ১০-২০ জন পুণ্যার্থী এবং সমসংখ্যক স্থানীয় বাসিন্দা সেখানে আক্রান্ত হচ্ছেন। সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক। ১১ মার্চ প্রথম শাহী স্নানের সময় ৩২ লক্ষেরও বেশি পুণ্যার্থী হরিদ্বারে ভিড় জমিয়েছিলেন বলে খবর। তবে যা পরিস্থিতি ১২-১৪ এবং ১৭ এপ্রিল বাকি শাহী স্নান সমারোহের সময় সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।