সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল আইপিএস অফিসারের। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের ঘটনা। টুইটে সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি।
অভিযোগ, সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের মেয়েকে প্রায়ই রাতে ফোন করে বিরক্ত করতেন ১৯৯৭ ব্যজের ওই আইপিএস অফিসার। মেয়েটিকে ঘরে আসতে বলে কুপ্রস্তাব দিতেন। দিনের পর দিন এই ঘটনা চলেছে। তারপরই মেয়েটির বাবা টুইটে পুলিশের কাছে ওই আইপিএসের কুকীর্তির কথা তুলে ধরেন। অভিযুক্ত পুলিশ কর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তেরও আর্জি জানান। শুধু উত্তরপ্রেদশ পুলিশকেই নয়, ওই অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অবনীশ কুমার অবস্থি, ডিজি এবং আইপিএস-আইএস সংগঠনকেও ট্যাগ করেছিলেন। রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকায় যেখানে অবতীর্ণ শেখানে মেয়েরা আদৌ কী সুরক্ষিত? এই প্রশ্ন তুলেছেন অভিযোগকারী।
ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ডিজি মুকুল গোয়েল। টুইটেই জবাবে তিনি লিখেছেন, 'আপনার অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হল ও এর তদন্ত হবে। দয়া করে গাজিয়াবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করুন।'
তবে, শনিবার রাত পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি বলে জানিয়েছে গাজিয়াবাদ পুলিশ। ডিজি-র তরফে নির্দেশ, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহানির্দেশক ও পিএসি এই অভিযোগের সত্যতা তদন্ত করে দেখবে।
শনিবারঅভিযোগকারীর বাড়ি গিয়েছিল গাজিয়াবাদের পুলিশ। মেয়েটির মায়ের সঙ্গে কথা বলেছে তারা। পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন, অভিযোগকারী সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী লিখিত দিলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তেমন কোনও অভিযোগ সেখানে উল্লেখ করা হয়নি। তবে পুলিশ এখনও অভিযোগকারী সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলতে পারেনি। তাঁর মেয়েকেও কুঁঝছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মেয়েটি গাজিয়াবাদেই থাকেন। সে বিবাহিত।
অভিযুক্ত আইপিএস-য়ের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ ছিল।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন