/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/07/Modi-6.jpg)
দেশজুড়ে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। সেই সময় আদর্শ রাজনীতিবিদদের উদাহরণ তুলে ধরতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সম্পত্তির খতিয়ান প্রকাশ করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। দুর্নীতি রুখতে এবং স্বচ্ছতার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সম্পত্তির খতিয়ান পেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সেই মতোই প্রতিবছর সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী নিজেও পেশ করছেন তাঁর সম্পত্তির হিসেব। সেই মতো এই খতিয়ানে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী-সহ মন্ত্রীদের সম্পত্তির হিসেব তুলে ধরা হয়েছে। যাতে দেখানো হয়েছে, তাঁর ভাগে থাকা একটি জমি প্রধানমন্ত্রী দান করে দিয়েছেন।
গুজরাতের গান্ধীনগরের ওই জমি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন আরও তিন জনের সঙ্গে মিলে কিনেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেটা ২০০২ সালের ২৫ অক্টোবরের ঘটনা। সেই সময় জমিটির মূল্য ছিল ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৪৮৮ টাকা। পরে, প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করে তার ওপর নির্মাণকাজ হয়েছিল। ২০২১ সালে সম্পত্তির খতিয়ান দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ১৪ হাজার ১২৫ বর্গফুটের ওই জমির ২৫ শতাংশ তাঁর মালিকানাধীন। ওই জমির বাজারমূল্য বেড়ে হয়েছিল ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। সেই জমিই প্রধানমন্ত্রী দান করে দিয়েছেন বলেই পেশ করা খতিয়ানে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ, বঞ্চিত বিদ্রোহী বিধায়কদের সামলাতে নাজেহাল শিণ্ডে
খতিয়ানে প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে যশোদাবেনের উল্লেখ থাকলেও, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণের জায়গায় লেখা আছে, 'জানা নেই'। প্রধানমন্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণের জায়গায় লেখা রয়েছে 'NIL'। এর আগে মোদীর নামে লার্সেন অ্যান্ড টুবরোর ২০ হাজার টাকার বন্ড থাকার কথা জানানো হয়েছিল। সেই বন্ডও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১২ সালে তিনি কিনেছিলেন। তারও কোনও উল্লেখ এবারের খতিয়ানে নেই।
গত বছরের খতিয়ানে জানানো হয়েছিল, মোদীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ কোটি ৯৭ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৮৫ টাকা। নতুন খতিয়ানে জানানো হয়েছে, সেটা বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ২৩ লক্ষ ৮২ হাজার ৫০৪ টাকা। এই অস্থাবর সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে ফিক্সড ডিপোজিট, এনএসসি, জীবন বিমা, গয়না, ব্যাংকে টাকা, হাতে থাকা নগদ অর্থ। এর মধ্যে এনএসসি মূল্য ৮ লক্ষ ৯৩ হাজার ২৫১ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯ লক্ষ ৫ হাজার ১০৫ টাকা। বিমার অর্থ ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৯৫৭ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৩০৫ টাকা।
Read full story in English