বৃহস্পতিবার ভারত আবারও বলেছে যে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক "স্বাভাবিক নয়" এবং উভয় পক্ষই পূর্ব লাদাখের অমীমাংসিত সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য কূটনৈতিক এবং সামরিক পর্যায়ে আলোচনা চালাচ্ছে।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে 'সীমান্তে শান্তি না আসা পর্যন্ত চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না'। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন ৯ এবং ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সামরিক পর্যায়ের আলোচনায়, সীমান্ত সমস্যা মোকাবিলায় একটি গঠনমূলকভাবে আলোচনা হয়েছে দু'দেশের তরফেই।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, 'চিন সম্পর্কে আমাদের অবস্থান সর্বজনবিদিত। দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক নয় তবে আমরা সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছি। পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। জয়সওয়াল অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনার কথাও উল্লেখ করেছেন।
৩০শে নভেম্বর অনুষ্ঠিত কূটনৈতিক আলোচনার বিষয়ে, জয়সওয়াল বলেছেন যে উভয় তরফেই গভীর এবং গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে এবং অবশিষ্ট সমস্যাগুলি সমাধান করার এবং পূর্ব লাদাখে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু দেশের মধ্যে। ভারত বলেছে, সীমান্ত এলাকায় শান্তি ফিরে না আসা পর্যন্ত চিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না।
চিনের সংবাদ মাধ্যমে ভারতের প্রশংসা
চিনের সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস ভারতের প্রশংসা করেছে। গ্লোবাল টাইমস-এ, ফুদান ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান-এর পরিচালক ঝাং জিয়াডং ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কৌশলের প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন যে ভারত অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক শাসনে দারুণ ফল অর্জন করেছে। তিনি আরও বলেন যে দেশের অর্থনীতি গতি পেয়েছে এবং ভারত দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হয়ে ওঠার পথে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।
প্যাংগং লেক এলাকায় একটি হিংসাত্মক সংঘর্ষের পরে, ৫ মে, ২০২০-এ পূর্ব লাদাখ সীমান্তে অচলাবস্থা শুরু হয়। ২০২০ সালের জুনে গালওয়ান উপত্যকায় ভয়াবহ সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বেশ তলানিতে ঠেকে। এই সংঘর্ষ কয়েক দশকের ইতিহাস দুই পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর 'সামরিক সংঘর্ষ' হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।