ভারত সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠকে এ দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রসঙ্গ উত্থাপন করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের তরফে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসি-র বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। আমেরিকা সহ আন্তর্জাতিক মঞ্চে যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বহু রাষ্ট্র। এই অবস্থায় আগামী সোমবার দু'দিনের ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই সফরে কী প্রেসিডেন্ট সিএএ প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে পারেন? হোয়াইট হাউসে কর্মরত মার্কিন প্রশানের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, 'ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারত সফরে বিশেষ করে সেদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি বৈঠকে তুলে ধরবেন প্রেসিডেন্ট।'
আরও পড়ুন: মত বদল? মোদীর সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে অল্প কথা হবে: ট্রাম্প
মার্কিন আধিকারিকের কথায়, 'ভারতের গণতান্ত্রিক পরম্পরা ও প্রতিষ্ঠানকে আমেরিকা সম্মান করে। এই ঐতিহ্য এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন নয়াদিল্লিকে সবসময় উৎসাহিত করবে। তবে 'ভারতে সিএএ-এনআরসি নিয়ে যা চলছে তা নিয়ে আমেরিকা তাতে উদ্বীগ্ন।' তাঁর সংযোজন, 'প্রেসিডেন্ট হয়তো এইসব ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন। মনে করিয়ে দিতে পারেন যে, গণতান্ত্রিক পরম্পরা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি যে সম্মান ভারত অতীতে দেখিয়েছে তা যেন বজায় থাকে।'
'ভারতীয় সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি সম্মান ও সমানাধিকারের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসা করছি এই ইস্যুগুলো ফের একবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনায় উঠে আসবে।' মন্তব্য হোয়াইট হাইসের আধিকারিকের।
আরও পড়ুন: এই প্রথম স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে বিদেশ সফরে ট্রাম্প
ধর্মীয়, ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র সত্ত্বেও ভারতের গণতান্ত্রিক ভিত্তি অত্যন্ত মজবুত বলে মনে করে আন্তর্জাতিক দুনিয়া। মার্কিন আধিকারিক বলেন, 'দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সঙ্গে নিয়ে অগ্রগতির কথা বলেছিলেন। আর আবশ্যই, আইনের অনুশানের মধ্যে থেকে কীভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের পরম্পরা বজায় রাখা যায়, তা দেখতে ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব।'
সিএএ, এনআরসি-র প্রতিবাদে উত্তাল দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে কাশ্মীরিদের মানবাধিকার নিয়ে। ট্রাম্পের দেশ আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ভুক্ত বিভিন্ন দেশ সহ ইসলামি বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র এই ইস্যুতে নিয়ে ভারতের সমালোচনা পর্যন্ত করছে। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরে 'ধর্মীয় স্বাধীনতা'র প্রসঙ্গ উঠলে তা মোদী সরকারের পক্ষে বিডম্বনার হবে বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন