ব্যবহার আর আদব কায়দা কিন্তু মানুষের আসল পরিচয়। সে আপনি চেনা মানুষের সঙ্গে থাকুন অথবা অচেনা কারওর আপনার কথার ধরন বলে দেবে আপনি আসলেই কি! তবে প্রত্যেকের মধ্যে এমন কিছু স্বভাব রয়েছে যেটি কিন্তু খুবই খারাপ এবং আপনাকে অন্য মানুষের কাছে খারাপ করে তোলে।
বিশেষজ্ঞ টিম গ্রে বলেন, প্রত্যেকের মধ্যেই এমন স্বভাব রয়েছে তার মানে এই নয় যে পরিবর্তন করা যায় না। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যে। নিজেকে চাইলেই মানসিক এবং শারীরিক দুই ভাবেই অভ্যাস পরিবর্তন করা যায়। টক্সিক এই ধরনের স্বভাবগুলো আপনার পারিপার্শ্বিক এবং চিরাচরিত সম্পর্কের মধ্যে ভাঙন আনতে পারে। সেই কারণেই বদলে ফেলুন নিজেকে, বেশি খুশি, কম মানসিক চাপ এবং সুন্দর স্বাস্থের অঙ্গীকার সকলের থাকে। তাই আজ থেকে একেবারেই নিজের খারাপ অভ্যাসগুলো বর্জন করতে হবে।
সঙ্গে তিনি আরও বলেন, কেন আপনি নিজের খারাপ অভ্যাসগুলো ত্যাগ করবেন। কারণ নিজে মন এবং শারীরিক ভাবে সুন্দর থাকলে ওপরের খারাপ গুণ একেবারেই চোখে যেমন পড়বে না তেমনই নিজের সঙ্গে সঙ্গে অন্যকে বদল দেওয়ার চেষ্টা করা আপনার লক্ষ্য হতে পারে।
প্রথমেই, সবসময়ের জন্য ফাস্ট ফুড, বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। এতে সমস্যা হতে পারে। শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। একটু আধটু ঠিক আছে তবে যত কম হয় তত ভাল।
দ্বিতীয়, বিষাক্ত স্বভাবের বন্ধু অথবা মানুষদের থেকে দূরে থাকুন। যারা আপনাকে ভাল কাজে উৎসাহিত করতে পারে, সুচেতনার আশ্বাস জাগাতে পারে তাদেরকেই মেন্টর হিসেবে গ্রহণ করেন।
তৃতীয়, একনাগাড়ে টিভি না দেখে মাঝে মধ্যে একটু শরীরচর্চা করে নিন। শরীর চালনা করা খুব দরকার। নয়তো মুশকিল।
চতুর্থ, অত্যধিক ভাবা বন্ধ করুন। বেশি ভাবলে মানসিক চাপ যেমন পড়বে তেমনই জীবনে এগোতে পারবেন না। তাই কাজটি করে ফেলুন, বেশি ভাববেন না।
পঞ্চম, একে ওকে দোষ দেওয়ার থেকে নিজের দিকে আগে তাকান। আর নয়তো চেষ্টা করুন মানুষের দায়িত্বও নিতে অথবা নিজে দায়িত্ব নিয়ে কোনও কাজ করার। অযথা ঝামেলা অশান্তি করবেন না।
ষষ্ঠ, সবসময় অভিযোগ করবেন না। আপনার মত সব নাও হতে পারে তাই নিজেকে একটু মানিয়ে নিন। মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন। সবসময় তাদের কাজের প্রতি আভার প্রদান করুন।
সপ্তম, সারারাত নেটফ্লিক্স, ওটিটি না দেখে সঠিক সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। ঠিকমত না ঘুমালে শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। সঙ্গেই প্রেসার বাড়তে পারে এবং দুর্বল অনুভব করতে পারেন। তাই ঘুম প্রয়োজনীয়।
অভ্যাসে বদল আনুন, মানুষের মনের কাছে পৌঁছাবেন।