গত বছর প্রকাশিত হওয়া এনআরসি-র খসড়ায় থাকা ১০ থেকে ২০ শতাংশ নাম ফের খতিয়ে দেখতে চেয়ে শীর্ষ আদালতের দারস্থ হয়েছে কেন্দ্র এবং অসমের রাজ্য সরকার। এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে সরব হল অল অসম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (আসু)-সহ একাধিক সংগঠন। ওই সংগঠনগুলির অভিযোগ, এনআরসি-র প্রক্রিয়াকে পিছিয়ে দিতেই এই পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত, আগামী ৩১ জুলাই চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশিত হওয়ার কথা হয়েছে।
অসম সরকারে স্বরাষ্ট্র দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, "গত ৯ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত আবেদন করেছি আমরা। কেন্দ্র ও রাজ্য- দুই সরকার বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সংলগ্ন যে জেলাগুলির জনসংখ্যার গড় বৃদ্ধির হার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ খানিকটা বেশি, সেই জেলাগুলির থেকে এনআরসির খসড়া তালিকায় ওঠা অন্তত ২০ শতাংশ নাম নিয়ে সংশয় রয়েছে আধিকারিকদের। অন্য জেলাগুলির ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১০ শতাংশ।" ওই আধিকারিক জানান, এটি নতুন কোনও বিষয় নয়। গত বছর খসড়া এনআরসি প্রকাশের সময়ও এমন সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। এই বছরও তা করতে চায় প্রশাসন।
আরও পড়ুন, আগুন-আতঙ্কে রাস্তায় রাত কাটাবেন নন্দরাম মার্কেটের ব্যবসায়ীরা
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে আসু। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ বলেন, "একদম শেষলগ্নে এসে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত সন্দেহজনক। আমাদের আশঙ্কা, এনআরসি প্রক্রিয়াকে পিছিয়ে দিতেই এই চেষ্টা। চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে সরকার এমন আবেদন করল! যদি সত্যিই খসড়া তালিকা ফের খতিয়ে দেখার প্রয়োজন থাকত, তাহলে আরও ্রআগেই আবেদন করা যেত।"
অল অসম মাইনরিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আমসু) জানিয়েছে, "তারা এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা আবেদন করবে। সংগঠনের উপদেষ্টা আজিজুর রহমান বলেন, সরকারের এই আবেদন নিয়ে আমরা সংশয়ে রয়েছি। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, এনআরসি-র প্রক্রিয়াটিকে পিছিয়ে দিতে অথবা যথাসম্ভব দেরি করিয়ে দিতেই এই আবেদন। কোন সরকারি আধিকারিকেরা নতুন করে খসড়া নাগরিক পঞ্জী খতিয়ে দেখবেন! যাঁরা গতবছর এই কাজ করেছেন, তাঁরাই তো ফের দায়িত্ব পাবেন!"
যদিও অসম সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, খসড়া নাগরিক পঞ্জী ফের খতিয়ে দেখার কাজ যাঁরা করবেন, তাঁরা কেউই আগে এই দায়িত্ব পালন করেননি।
Read the full story in English