নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে ঘিরে বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিশানা করলেন অমিত শাহ। দিল্লিতে অশান্তির জন্য বিরোধীরাই দায়ী, বিশেষত রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে যখন উত্তাল গোটা দেশ, ঠিক সেই আবহে সোমবার এমন মন্তব্যই করলেন মোদী সেনাপতি। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি।
আরও পড়ুন: ‘দেশে কমিউনিস্টদের মারা শুরু হয়েছে, মনে হয় পাওনা আছে’, জেএনইউকাণ্ডে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
এ প্রসঙ্গে এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না...নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন এটা। সিএএ ঘিরে যে অশান্তি হচ্ছে, তার জন্য দায়ী এই দলগুলিই (আপ, কংগ্রেস)...বিশেষত রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী’’। উল্লেখ্য, এর আগেও বিরোধীদের নিশানা করে সরব হতে দেখা গিয়েছে শাহকে। কিছুদিন আগেই বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি বলেছিলেন, ‘‘কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং, যারা দিল্লিতে অশান্তি ছড়িয়েছে, তাদের শাস্তি দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। দিল্লিবাসীর শাস্তি দেওয়া উচিত’’।
আরও পড়ুন: জেএনইউ-তে ‘ফ্যাসিস্ট সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’, সরব ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা মমতা
উল্লেখ্য, হস্টেলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে কয়েকদিন ধরেই উত্তাল জেএনইউ ক্যাম্পাস। সেই আবহেই রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট নাগাদ ‘শান্তিপূর্ণ মিছিলের’ ডাক দেন জেএনইউ-এর টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। ক্যাম্পাসে এবিভিপি এবং বাম সংগঠনের নেতাদের কোন্দলের একদিন পরই এই মিছিলের ডাক দেন তাঁরা। সে কারণেই জড়ো হয়েছিলেন সকলে। এরপরই শুরু হয় অতর্কিত হামলা। রাতের অন্ধকারে এই ভয়ঙ্কর হামলায় জখম হয়েছেন জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ-সহ একাধিক ছাত্রছাত্রী, দু’জন শিক্ষক এবং দু’জন সুরক্ষা কর্মী। আহতদের সকলকেই দিল্লির এইমস এবং সফদরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হামলার পিছনে এবিভিপি জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দিল্লি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
Read the full story in English