১৯-শের লোকসভার আগে আমিত শাহ বঙ্গ বিজেপিকে আসন জয়ের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন। ঘোষণা করেছিলেন যে মোট ৪২-এর মধ্যে ২২-যের কম আসন পাবে না গেরুয়া শিবির। মোদী ঝড়ে লক্ষ্যের প্রায় কাছাকাছিই পৌঁছে ছিল বিজেপির আসন সংখ্যা। সময় বদলেছে। পদ্মপালে ঝোড়ো হাওয়া এখন অতীত। উল্টে বঙ্গ বিধায়নসভার ভোটে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বহু দৌড়ঝাঁপের পরেও দলের বিপর্যয় হয়েছে। দল ছাড়ছেন সাংসদ, বিধায়করা। ফলে সংগঠনকে ধরে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ নয়া রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত চৌধুরীর সামনে। পদ পেয়েই তাই সংগঠন পোক্ত করতে ঘুটি সাজাতে শুরু করেছেন তিনি। কলকাতায় পা রেখেই জানালেন ২০২৪ লোকসভা ভোটকে সামনে রেখেই যাবতীয় কাজ করা হবে। এমনকী বেঁধে দিয়েছেন আগামী লোকসভায় বাংলা থেকে আসন দয়ের টার্গেটও।
প্রাক্তন সর্ভারতীয় বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ ১৯-য়ের লোকসভায় বাংলা থেকে টার্গেট স্থির করেছিলেন ২২। আর নয়া রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার টার্গেট ২৫-এর বেশি আসন। হিসাব কষেই এই অঙ্ক তিনি ঘোষণা করছেন বলে দাবি করেছেন বালুরঘাটের সাংসদ।
আরও পড়ুন- ‘অভিজ্ঞতা বেড়েছে বলেই দায়িত্ব বাড়াল দল’, পদ খুইয়ে বলছেন দিলীপ
হাওড়ায় পৌঁছেই এ দিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, "সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য। বিধানসভা ভোটে কৌশলে ভুল ছিল। তার কারণ বাইরে ব্যাখ্যা করা সমীচিন হবে না। তৃণমূলের চতুরতা আমরা বুঝতে পারিনি। তবে লোকসভায় আশা করছি ভালো ফলাফল হবে। বলতে পারি যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২৫-য়ের বেশি আসন জিতবে বিজেপি।"
দলের হারের জন্য বিজেপির অনেকেই প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে দায়ী করেন। নয়া রাজ্য সভাপতি অবশ্য এসব বিতর্কে মুখ খুলছেন না। উল্টে দিলীপ ঘোষের পক্ষেই সওয়াল করছেন তিনি। সুকান্ত মজুমদারের কথায়, "দিলীপ দা ভালো নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ওনার আমলেই তো বাংলায় দলের প্রভূত বিস্তার ঘঠেছে। দল বিরোধী শক্তিতে পরিণত হয়েছে। বাংলায় বিজেপির এখনও পর্যন্ত সফল সভাপতি দিলীপ ঘোষই।" তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বাংলায় দলের বিস্তারের লক্ষ্যে কৌশলে বদল ঘটবে। অর্থাৎ নেতৃত্বদানে পূর্বতন পদাধিকারীদের থেকে যে 'টিম সুকান্ত' আলাদা হবে তা কার্যত বুধিয়ে দিয়েছেন নয়া রাজ্য বিজেপি সভাপতি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন