আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতেই লাগু হবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। স্পষ্ট করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মকুল রায়। একই দাবি করেছেন পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা তথা দলের তরফে এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
দিন কয়েক আগেই মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর৷ নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির কার্যকলাপে সন্দেহ উঁকি মারছিল মতুয়াদের মধ্যে। রবিবার রেড রোডে দলের দলের সভায় সিএএ ঘোষণার সম্ভাব্য সময় জানিয়ে মতুয়াদের ক্ষোভে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে।
মুকুল রায় বলেছেন, 'আগামী বছর জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারিতেই দেশজুড়ে সিএএ লাগু হবে।' এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই মুকুল জানান, তিনি শান্তনু ঠাকুরকে বলেছে অধৈর্য না হতে। রাজনীতিতে ধৈর্যই বড় বিষয় বলে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের এই কেন্দ্রী নেতা।
নভেম্বরে রাজ্য সফরে এসে অমিত শাহ বিধানসভায় আসন জয়ের টার্গেট বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের ২০০ আসনে জয়ের কথা বলেছেন তিনি। সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল মুকুল রায়ের কথায়। রবিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি বলেছেন, 'আগামী বিধানসভা ভোটে ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বিজেপি বাংলা জয় করবে বলে আমি আশাবাদী। তৃণমূল মাইক্রোস্কোপিক দলে পরিণত হবে।'
উল্লেখ্য, বিজেপির নজরে মতুয়াদের ভোট। এ রাজ্যের বেশ কয়েকটি আসনে মতুয়ারা নির্ণায়ক শক্তি। এদের বেশিরভাগই উদ্বাস্তু। এখনও নাগরিকত্ব পাননি। সিএএ লাগুর মাধ্যমে মতুয়াদের নাগরিকত্ব প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। ২০২১ ভোটের আগে যা বাস্তবায়িত করে সেই প্রতিশ্রুতিপূরণ করতে মরিয়া মুকুল-কৈলাসরা। দল মনে করছে এতেই মতুয়াদের আস্থা জয় সম্ভব। যা বাংলা জয়ের লক্ষ্যে গেরুয়া শিবিরকে অনেকটা এগিয়ে দেবে।
অমিত শাহও নভেম্বরে বাংলায় এসে বাগুইহাটিতে এক মতুয়া পরিবারেই মধ্যাহ্নভোজন সেরেছিলেন। জানিয়েছিলেন, সিএএ লাগু এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্রা।
রবিবার কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান, 'প্রতিবেশী দেশের ধর্মীয় সংখ্যালগু যাঁরা নিপিড়নের শিকার হয়ে ভারতে এসেছিলেন তাঁদের নাগরিকত্ব দিতেই সিএএ লাগু হবে।' কেন মমতা সরকার সিএএ প্রতিবাদ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই বিজেপি নেতা।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন