Advertisment

এবার রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তোপ দিলীপ ঘোষের

"৬৬৭০ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণ ছাড়া সেকেন্ডারি স্কুলে কাজ করছেন। প্রাইমারি স্কুলে অতিরিক্ত শিক্ষক আছেন।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
দিলীপের উপর 'হামলায়' অমিত শাহর ফোন-মমতার হুঙ্কারেও অনড় বাসমালিকরা-খুলল কালীঘাট মন্দির

দিলীপ ঘোষ।

এর আগে সুন্দরবনের আয়লার বরাদ্দ অর্থ নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। এবার সরাসরি শিক্ষা দফতর কোনও কাজ করছে না বলে কেন্দ্রীয় বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এছাড়া তিনি শিক্ষা সংক্রান্ত নানা তথ্য তুলে ধরে বিঁধলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। একইসঙ্গে আমফান নিয়ে রাজ্যের ১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতির দাবিকে ভাঁওতাবাজি বললেন দিলীপ ঘোষ।

Advertisment

আয়লার বরাদ্দ কয়েকশো কোটি টাকার হিসেব দেয়নি রাজ্য সরকার।  দিলীপবাবুর এই অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শিক্ষা দফতরের কাজকর্ম নিয়ে একাধিক অভিযোগ করলেন তিনি। দিলীপবাবুর দাবি, "পার্থবাবুর দফতরে ২০১৪-১৫তে কেন্দ্র থেকে টাকা পাঠানো হয়েছিল বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য। ৭৮০টি ক্লাস রুম তৈরির জন্য ১৪২টা সায়েন্স ল্য়াব, ১৩৩টি আর্ট কালচার রুম, ২১৬টা টয়লেট, ৪৬ টা কম্পিউটার রুম, ১২টা ড্রিঙ্কিং ওয়াটার প্রকল্প করার কথা ছিল। এমন নানা প্রকল্পের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু ওই সেন্টারগুলির কোনওটার কাজ শুরু হয়নি। ওই টাকা রাজ্যকে ফেরত দিতে বলা হয়েছে। ৪০৩৪ টি স্কুলে পরিকাঠামোর জন্য ৩৯৫ কোটি টাকার কোনও কাজ হয়নি।"

শুধু বরাদ্দকৃত অর্থে কাজ না হওয়ার অভিযোগ নয়, তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে এরাজ্যের বেহাল দশার অভিযোগো করেছেন। বঙ্গ বিজেপির সভাপতির অভিযেোগ, "তথ্য অনুযায়ী ৭২ শতাংশ স্কুলে চারটি বিষয়ে শিক্ষক নেই। ৪২ শতাংশ স্কুলে তিনটে বিষয়ে শিক্ষক নেই। এখানে আপার প্রাইমারিতে ড্রপ আউট ২২ শতাংশ। এই ছাত্রছাত্রীরা বেশিরভাগই মুসলিম পরিবারের। ২১ শতাংশ মুসলিম হায়ার এডুকেশনে ড্রপ আউট করছে। মুসলিম সমাজ নিয়ে এত চিন্তা অথচ তাঁদের ড্রপ আউট রুখতে পারছে না সরকার। অন্যদিকে ৬৬৭০ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণ ছাড়া সেকেন্ডারি স্কুলে কাজ করছে। প্রাইমারি স্কুলে অতিরিক্ত শিক্ষক আছেন।"

dilip ghosh partha chatterjee
Advertisment