দেশে লোকসভা এবং বিধানসভাগুলোর একযোগে নির্বাচনের ব্যাপারে বিজেপির 'এক জাতি, এক নির্বাচন' ধারণা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক। নির্বাচন কমিশন এরকম একসঙ্গে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত? এই প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বুধবার বলেছেন যে কমিশন, 'আইনি বিধান অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করতে তৈরি।'
Advertisment
মধ্যপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ভোপালে সাংবাদিকদের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'আমাদের কাজ হল সময়ের আগে নির্বাচন করা। সংবিধান এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে সেই সময় বেঁধে দেওয়া আছে।' মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের বিধান অনুসারে, সরকারের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস আগে নির্বাচন ঘোষণা করা যেতে পারে এবং বিধানসভাগুলোর জন্যও একই নিয়ম। আইনি পদ্ধতি অনুযায়ী, সংবিধান এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে আমাদের নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য একটি নির্দেশিকা আছে। আমরা প্রস্তুত।'
এর আগে গত শনিবার কেন্দ্রীয় সরকার 'জাতীয় স্বার্থ'র প্রসঙ্গ তুলে লোকসভা, বিধানসভা, পৌরসভা, পঞ্চায়েতগুলোয় 'একযোগে নির্বাচন করার জন্য পরীক্ষা এবং সুপারিশ করার লক্ষ্যে' আট সদস্যের একটি উচ্চস্তরের কমিটি তৈরি করেছে। কুমার বলেন, 'আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং আমাদের নির্দেশ খুব স্পষ্ট- আমরা ভোট ঘোষণার পর বিনামূল্যে বস্ত্র থেকে কোনও কিছুই বিতরণের অনুমতি দেব না। আমাদের অভিজ্ঞতা হল, গত কয়েকটি নির্বাচনে ভোট ছিনতাইয়ের পরিমাণ বেড়েছে। সেই পরিস্থিতিতে আমরা একটি প্রলোভনমুক্ত, অহিংস এবং স্বচ্ছ নির্বাচন চাই।'
কেন্দ্রীয় সরকার 'এক দেশ এক নির্বাচন'-এর কথা বললেও বিরোধীরা অবশ্য তাতে রাজি নয়। কারণ, অতীতে দেখা গিয়েছে একসঙ্গে নির্বাচন হলেও পরে বিভিন্ন জায়গায় অনাস্থার কারণে সরকার ভেঙে গিয়েছে। তারপর থেকে আলাদাভাবেই নির্বাচন চলছে। এবারও একসঙ্গে নির্বাচন হওয়ার পর এমনটা হলে যে রাজ্যগুলোয় সরকার ভেঙে যাবে, সেখানে আবার নতুন করে সেই নির্বাচন করাতেই হবে। তাহলে একসঙ্গে নির্বাচন করে দেশের আর্থিক খরচ বাড়িয়ে লাভটা কী? সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।