কপিল সিব্বল আচমকা সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। এতদিন দলে তিনিই ছিলেন বিদ্রোহীদের মাথা। দলের হাইকমান্ডের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে যদি কেউ মুখ খুলতে পারেন, সবাই এতদিন জানত সিব্বলই পারবেন। তাঁকে ঘিরেই ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিচ্ছিলেন কংগ্রেসের বিদ্রোহীরা। যেমনটা, পিভি নরসিমহা রাওয়ের আমলে হয়েছিল। সেই সময় সীতারাম কেশরীদের সঙ্গে দলের গান্ধী পরিবার নির্ভর হাইকমান্ডকে টক্কর দেওয়ার জন্য রীতিমতো কালঘাম ছোটাতে হত। সেই সময়টাই যেন ফিরে এসেছে কংগ্রেসে। এমনটা দলের অনেকেই আড়ালে, আবডালে বলছিলেন। তবে, সেই সময় বিজেপি আজকের মত শক্তিশালী ছিল না। এটাই যা বাঁচোয়া।
এখন পরিস্থিতিটা বদলে গেছে। একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। তাই বিদ্রোহীরা এখন বেশ শক্তিশালী। হাইকমান্ডের মুখোমুখি হয়ে সোজা কথা সোজাভাবেই বলে দেন বিদ্রোহী নেতারা। এমনই অভিযোগ গান্ধী পরিবারের অতি ঘনিষ্ঠ কংগ্রেসের নেতাদের। আর, সেই বিদ্রোহীদেরই মাথা ছিলেন কপিল সিব্বল। সেই সিব্বলই আচমকা দল ছাড়তে স্বভাবতই বেকায়দায় পড়েছেন বিদ্রোহী শিবিরের বাকি ২৩ নেতা। দলের অন্দরে যাঁরা জি২৩ নামে পরিচিত। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে সিব্বলের পথচলা শুরু। কংগ্রেসে থাকাকালীন ইউপিএ জোটের অন্য শরিক নেতাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ভাল। মুলায়ম থেকে অখিলেশ, লালু যাদব থেকে অন্য নেতারা- প্রায় সকলের কাছেই সিব্বল যেন ছিলেন কাছের মানুষ।
আরও পড়ুন- হাত ছাড়ার নেপথ্যে প্রকৃত কারণ কী? এবার কী পরিকল্পনা? মুখ খুললেন কপিল সিব্বল
কংগ্রেস জমানায় মন্ত্রীপদও সামলেছেন। পরবর্তী সময়ে দেখা গিয়েছে, কংগ্রেসের পরাজয়ের সংখ্যা বেড়েছে। আর, তারই সঙ্গে সুর চড়া হয়েছে সিব্বলের। রাহুল, প্রিয়াঙ্কা তো বটেই। এমনকী, দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধেও তিনি বারবার আঙুল তুলেছেন পরাজয়ের জন্য। বারবার বলেছেন আত্মানুসন্ধান এবং খোলামেলা আলোচনার কথা। যা মোটেও খোলামনে গ্রহণ করেনি গান্ধী পরিবার। বরং, তিনি ক্রমশ দলের হাইকমান্ডের চোখের বালি হয়ে উঠেছেন। এমনটাই অভিযোগ বিভিন্ন মহলের। তারপরও কিন্তু দলের আইনজীবী নেতা সিব্বলের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছিলেন কংগ্রেসের একাংশ। তাঁকে ঘিরে তৈরি হয়ে গিয়েছিল দলের বিরোধী মঞ্চ। শেষমেষ সেই সিব্বলই সাইকেলে চেপে বসে তাঁদের হতাশ করলেন। এমনটাই এখন কান পাতলে শোনা যাচ্ছে কংগ্রেসের অন্দরে।
Read full story in English