Nishikant Dubey: বৃহস্পতিবার লোকসভায় নিজের মতামত ব্যক্ত করেন গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, আজকাল বিরোধী দলের নেতারা একটা কথাই বারে বারে বলে চলেছেন 'সংবিধান বিপন্ন'। কিন্তু আসলে সত্যিটা অন্যকিছু। তিনি বলেন, সংবিধান বিপদে নেই তবে কিছু মানুষের রাজনীতির কারণে কিছু মানুষ অবশ্যই বিপদে আছেন। এই সময়, তিনি ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীদের বিষয়েও তার মতামত প্রকাশ করেন এবং লোকসভা স্পিকারের কাছে একটি বড় দাবি করেছিলেন।
ঝাড়খণ্ডে উপজাতি জনসংখ্যা কমছে
লোকসভায় বিজেপি সাংসদ বলেছেন যে ঝাড়খণ্ড যখন বিহার থেকে আলাদা হয়েছিল, তখন আদিবাসী জনসংখ্যা ছিল ৩৬ শতাংশ। আজ ঝাড়খণ্ডে আদিবাসীর সংখ্যা ২৬ শতাংশেরও নীচে নেমে এসেছে। কেন কমেছে সবাই জানে কিন্তু কেউ কিছু বলবে না। নিশিকান্ত দুবে বলেন, সত্যি কথা হচ্ছে ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী এলাকায় ব্যাপক হারে ধর্মান্তরের খেলা চলছে।
বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, "আমি যে লোকসভা আসন থেকে সাংসদ হয়েছি সেই পঞ্চায়েতের প্রধান একজন আদিবাসী মহিলা। তবে সত্যি হলো তার স্বামী মুসলমান। এমতাবস্থায় এখন প্রশ্ন জাগে স্বাভাবিকভাবেই আসে, মহিলা উপজাতী সম্প্রদায়ের হলে স্বামী কিভাবে মুসলমান হবে? এটা হিন্দু-মুসলমানের বিষয় নয়। প্রশ্ন হল, এই মুসলমান কারা? তারা সবাই বাংলাদেশি। পশ্চিমবঙ্গ হয়ে ঝাড়খণ্ডে আসছেন। আদিবাসী মহিলাকে বিয়ে করছেন। স্থানীয় সরকার জানে কিভাবে এসব নোংরা খেলা চলছে। কিন্তু কেউ কিছু বলছে না"।
আরও পড়ুন - < Supreme Court: ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা কেন্দ্রের! খনিজ শুল্ক নিয়ে রায়ে কী জানাল শীর্ষ আদালত? >
একই সময়ে ঝাড়খণ্ড সরকারকেও আক্রমণ করেছেন নিশিকান্ত দুবে। তিনি আরও বলেন, "ঝাড়খণ্ডে বিরোধী জোট সরকার রয়েছে। জেএমএম এবং কংগ্রেস সরকার এ বিষয়ে কিছুই করছে না। সর্বত্র ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু গোড্ডায় উপজাতীয় জনসংখ্যা ১০ শতাংশ কমেছে, তা নিয়ে কেউ চিন্তিত নয়। উদ্বেগ সংবিধান নিয়ে কারণটা স্রেফ 'ভোটের রাজনীতি'। এ সময় নিশিকান্ত দুবে আরারিয়া ও কিষাণগঞ্জের কথা উল্লেখ করে বলেন, হিন্দু গ্রামগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে। হিন্দু গ্রামগুলো কেন হারিয়ে যাচ্ছে তার তদন্ত হওয়া উচিত।