/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/05/cats-137.jpg)
আজকের বৈঠকে নির্বাচনী কৌশল এবং ঐক্য বাড়ানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
কর্ণাটকে কংগ্রেসের সাফল্যের পরে, এমভিএ আক এক বিশেষ বৈঠকের ডাক দিয়েছে। আজকের বৈঠকে নির্বাচনী কৌশল এবং ঐক্য বাড়ানোর উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। আজকের এই বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র অতুল লন্ডে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ‘এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বাসভবনে আজকের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে’।
কর্ণাটক বিধান সভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। আর নির্বাচনে এই জয়ের পরেই আসন্ন ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের রনকৌশন নির্ধারণে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ এমভিএ বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন।
উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার প্রধান মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, “কর্নাটক নির্বাচনে কংগ্রেসের অসামান্য পারফরম্যান্সের প্রেক্ষিপ্তে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠক ডেকেছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। আমাদের পক্ষ থেকে, দলের প্রধান উদ্ধব ঠাকরে এবং অন্যান্য নেতারা উপস্থিত থাকবেন”।
কর্ণাটকের নির্বাচনে বিপুল জয়ে এখন শুধু কংগ্রেসই নয়, গোটা বিরোধী শিবিরেই খুশির হাওয়া। পরের বছরেই লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী রনকৌশল ঠিক করতে আজ এক বৈঠকের আয়োজন করতে চলেছে এমভিএ। রবিবার শরদ পাওয়ারের সভাপতিত্বে হতে চলেছে এই বৈঠক। সঞ্জয় রাউত সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন ‘মোদী ঝড় অতীত, এখন বিরোধী জোট ঝড় তুলতে প্রস্তুত’।
#WATCH | Karnataka has shown that people can defeat dictatorship. Congress won which means Bajrang Bali is with Congress and not BJP. Our Home Minister (Amit Shah) was saying that if BJP loses, there will be riots. Karnataka is calm and happy. Where are the riots?: Uddhav… pic.twitter.com/TpJRzySUMW
— ANI (@ANI) May 14, 2023
তিনি আরও বলেন, ‘২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ।আজ শারদ পাওয়ারের সভাপতিত্বে একটি সভা ডাকা হয়েছে, আমরা এই বৈঠকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করব এবং এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করব,”।
রাউত আরও বলেছেন “কর্নাটক দেখিয়েছে যে মানুষ স্বৈরাচারকে পরাস্ত করতে পারে। কংগ্রেস জিতেছে যার মানে বজরং বলি কংগ্রেসের সঙ্গে, বিজেপির সঙ্গে নয়। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (অমিত শাহ) বলছিলেন, বিজেপি হারলে দাঙ্গা হবে। কর্ণাটক দিব্যি শান্ত রয়েছে দাঙ্গা কোথায়?"
এদিকে, কর্ণাটকের নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়করা রবিবার রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এক বৈঠকে অংশ নেবেন। রবিবার সকালে, দলের নেতা সিদ্দারামাইয়া এবং ডি কে শিবকুমারের সমর্থকরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীর সমর্থনে পোস্টার টানান।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার সমর্থকরা বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেস নেতার বাসভবনের বাইরে একটি পোস্টার লাগিয়েছে, তাকে "কর্নাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী" হিসাবে উল্লেখ করেছে্ন। অন্যদিকে কর্ণাটক কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমারের সমর্থকরা বেঙ্গালুরুতে তার বাসভবনের বাইরে একটি পোস্টার লাগিয়েছে, ডি কে শিবকুমারকে রাজ্যের ‘নেক্সট সিএম হিসাবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন।