আর জল্পনা নয়, লা ঝান্ডা ছেড়ে আজই কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন দেশের বাম যুব আন্দোলনের অন্যতম মুখ কানহাইয়া কুমার। তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হাত শিবিরের কর্মীরা। ইতিমধ্যেই দিল্লির কংগ্রেস সদর দফতরের সামনে কানহাইয়াকে স্বাগত জানাতে তাঁর ছবি দেওয়া পোস্টার লাগানো হয়েছে।
রাহুল গান্ধী ও গুজরাট কংগ্রেসের ওয়ার্কিন প্রেসিডেন্ট হার্দিক প্যাটেলের হাত ধরে কানহাইয়া কুমারের সঙ্গেই আজই গুজরাতের রাষ্ট্রীয় দলিত অধিকার মঞ্চের বিধায়ক জিগ্নশ মেভানিরও কংগ্রেসে যোগদানে কথা৷ বর্তমানে কানহাইয়া সিপিআই-এর সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য৷
জেএনইউ-তে ছাত্র আন্দোলন করার সময়ই গোটা দেশের নজর কেড়ে নিয়েছিলেন সুবক্তা কানহাইয়া কুমার। বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কড়া ভাষায় বিঁধেছিলেন তিনি। সিএএ- এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের সময়েও যথেষ্ট সরব ছিলেন এই ছাত্রনেতা৷ কানহাইয়াকে ঘিরে যথেষ্ট উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল৷ অবশ্য, ২০১৯ সালে বিহারের বেগুসরাই থেকে সিপিআই প্রার্থী হয়ে লোকসভা ভোটে লড়াই করলেও বিজেপির গিরিরাজ সিংয়ের কাছে পরাজিত হন এই যুব নেতা।
লোকসভা হোক বা বাংলার বিধানসভা- কানহাইয়াকে নিয়ে প্রচারে ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিল বামেরা৷ এবার সেই জনপ্রিয় সিপিআইয়ের যুব নেতাই নাম লেখাচ্ছেন কংগ্রেসে। কানহাইয়ার সিপিআই ত্যাগ বামেদের কাছেও নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা৷ জানা গিয়েছে ঘনিষ্ঠদের কাছে তরুণ এই নেতা জানিয়েছেন, সিপিআই-তে তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছে। কাজের সুযোগ নেই। তাই তাঁর দলবদল।
অ্যদিকে, ২০১৭ সালে গুজরাটের ভোট সংরক্ষিত ভদগাম কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের সমর্থনে রাষ্ট্রীয় দলিত অধিকার মঞ্চের তরফে বিধায়ক হয়েছিলেন জিগ্নেশ মেভানি। নিজের কংগ্রেসে যোগদানের খবর আগেই নিশ্চিত করেছেন তিনি।
কংগ্রেস মনে করছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সুস্মিতা দেব, জিতিন প্রসাদ এবং প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর মতো যুবরা ইতিমধ্যেই হাত ছেড়েছেন। শূন্যস্থান পূরণ করবেন কানহাইয়া ও মেভানি। তাঁরা দলে এলে সংগঠন পোক্ত হবে। দলের যুব কর্মীরা বিশেষ করে উৎসাহিত হবেন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন