আন্ধেরি (পূর্ব) বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হলেন রুতুজা লাটকে। সম্প্রতি শিবসেনা বিভক্ত হয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম নির্বাচনের মুখে পড়ল দল। আর, প্রথমেই জয় পেল উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা গোষ্ঠী। এই জয়ের জন্য জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি, কংগ্রেস এবং ভিবিএকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। একইসঙ্গে জানিয়েছেন যে মানুষ তাঁর দলের পাশে আছে। সেই কারণেই রুতুজা লাটকে জয় পেয়েছেন। পাশাপাশি, অবশ্য বিজেপির সমালোচনা করতেও ছাড়েননি উদ্ধব। জানিয়েছেন, বিজেপির জন্য এই আসনে এত বেশি পরিমাণ ভোট নোটায় পড়েছে।
রুতুজা লাটকের স্বামী ছিলেন আন্ধেরি (পূর্ব) বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক। তাঁর প্রয়াণেই প্রার্থী হয়েছেন রুতুজা। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও দল প্রার্থী দেয়নি। বিজেপি প্রার্থী দিলেও নবনির্মাণ সেনার নেতা রাজ ঠাকরের অনুরোধে প্রার্থী প্রত্যাহার করেছে। এই পরিস্থিতিতে রুতুজার জয় ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু, বিপুল পরিমাণ ভোট এই কেন্দ্রে নোটায় পড়েছে। কার্যত, দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে নোটা। বিজেপি প্রার্থী প্রত্যাহার করলেও নোটায় ভোট দেওয়ার জন্য আন্ধেরি (পূর্ব) বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। এই কেন্দ্রে মোট ভোটারসংখ্যা ৮৬,৫৭০। তার মধ্যে উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে শিবসেনার প্রার্থী রুতুজা পেয়েছেন ৬৬,৫৩০টি ভোট। আর নোটায় ভোট পড়েছে ১২,৮০৬টি।
আরও পড়ুন- সাত বিধানসভা উপনির্বাচনের তিনটিতে জয়ী বিজেপি, আরজেডির দখলে বিহার, তেলেঙ্গানায় হাড্ডাহাডি লড়াই
নিজের বাড়ি 'মাতোশ্রী'তে এই জয়ের পর সাংবাদিক বৈঠকে উদ্ধব বলেন, 'এটা একটা লড়াইয়ের শুরু মাত্র। দলীয় প্রতীক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, মানুষ ব্যক্তিকেও খোঁজে। উপনির্বাচনের ফলাফলেই দেখা যাচ্ছে যে মানুষ আমাদের সমর্থন করেছে। এই জয়টা একটা লড়াইয়ের শুরু। আমি শিবসৈনিকদের ভবিষ্যতের সমস্ত যুদ্ধের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার আবেদন জানাচ্ছি। এই নির্বাচনের জন্য আমাদের দলের নাম এবং প্রতীক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।'
তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, বিজেপি মূলত তাদের প্রার্থীপদ মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার কথাতেই প্রত্যাহার করেছে। এর ফলে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার সঙ্গে একনাথ শিন্ডের শিবসেনা গোষ্ঠী ও বিজেপির সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে। এই সম্পর্ক কি নতুন কোনও সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে? এই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছে বিভিন্ন মহল।
Read full story in English