/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/03/east-bengal.jpg)
মরশুম শেষ। চিড়াচরিতভাবে আরও একবার সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেন ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা। বিনিয়োগকারী ইমামির সঙ্গে। ইনভেস্টরের তরফে কার্যত অনুযোগের সুরেই প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ক্লাবের তরফে কোচ ফুটবলারদের যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এরকম ইচ্ছাপূরণের ভিত্তিতে দল গঠন সম্ভব নয়। বরং টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোন থেকে দল গঠন করতে হয়।
সেই সঙ্গে ইমামির তরফে বলে দেওয়া হয়, ক্লাবের কাছে বোর্ড মিটিংয়ের জন্য ডেট চাওয়া হয়েছে। তারপর ক্লাবের তরফে এখনও কোনও দিনক্ষণ জানানো হয়নি।
বিষ্ফোরক এমন প্রেস বিবৃতিতেই নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়। ইমামির দাবি পাল্টা খন্ডন করে ইস্টবেঙ্গলের তরফে ঠিক আধঘন্টা পরেই জবাব দেওয়া হয় শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের মাধ্যমে। যিনি দাবি করেন, ১০ ডিসেম্বর বোর্ড মিটিংয়ের জন্য ক্লাবের তরফে চিঠি পাঠানো হয়। যার জবাব এখনও ক্লাব পায়নি।
হাফডজন ম্যাচ জিতলেও এবার ইস্টবেঙ্গল আইএসএল শেষ করেছে দশ নম্বরে। তারপরেই কোচ স্টিফেনের বিদায় কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে চিঠি পাঠিয়ে পুরো দল সমেত কোচ বদলের বার্তা পাঠানো হয়েছে ইমামিকে। সংঘাতের আবহেই কার্যত স্পষ্ট স্টিফেন কনস্টানটাইনের সঙ্গে বিচ্ছেদ সেরে ফেলতে চাইছে ক্লাব। বোর্ড মিটিংয়েই সম্ভবত স্টিফেন বিদায়ে সিলমোহর পড়বে।
কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে, ক্লাবের তরফে সম্ভাব্য কোচের তালিকায় রয়েছে একাধিক হেভিওয়েট নাম। সের্জিও লোবেরা তো বটেই ভেসে উঠেছে হাবাসের নাম-ও। হাবাস, লোবেরা দুজনেই ভারতীয় ফুটবলে বিশেষ করে আইএসএল-এ অভিজ্ঞ। দেড় মরশুম আগেই টানা হারে স্প্যানিশ কোচের বিদায় ঘটেছিল এটিকে মোহনবাগান শিবির থেকে। এবার ইস্টবেঙ্গলে কোচের জোব্বা গায়ে হাবাসকে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
তবে পুরোটাই নির্ভর করছে, বিনিয়োগকারী ইমামির ওপর। ক্লাব কর্তাদের ইচ্ছাপূরণ করতে হাবাস-লোবেরাদের মধ্যে কাউকে নেওয়া হবে, নাকি নতুন কাউকে পছন্দ করে আনা হবে, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ইমামি কর্তৃপক্ষই।