ব্যাট হাতে ভারতের ত্রাতা হয়েছেন আরও একবার। কেএল রাহুলকে সঙ্গী করে দলকে বিপদসীমা পেরিয়ে দিয়েছেন। তিনি কেন 'কিং', ব্যাট হাতে ফের একবার ক্রিকেটবিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন মহাতারকা। একবার মাত্র ক্যাচ তুলেছিলেন। তারপর বাকিটা নিখুঁত ইনিংস। কোহলি আরও একবার ক্রিকেট বিশ্বে সমীহ আদায় করে নিলেন।
আর এমন দুর্ধর্ষ ছন্দে থাকা কোহলিকে সম্ভ্রম না করে পারছেন না গৌতম গম্ভীরও। ব্যক্তিগত সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। গত আইপিএলেই কোহলির সঙ্গে প্রায় হাতাহাতি লেগে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল গম্ভীরের। লখনৌ সুপার জায়ান্ট বনাম আরসিবি ম্যাচের সেই উত্তপ্ত অবস্থায় তুলকালাম পড়ে যায়। সেই ঘটনা আপাতত অতীত।
কুখ্যাত সেই ঘটনার পাঁচ মাস পরে এবার কোহলিকে টুপি খোলা কুর্নিশ জানালেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার। স্টার স্পোর্টসে ধারাভাষ্যকারের কাজ করছিলেন গম্ভীর। সেখানেই নিজের বক্তব্য রাখার সময় গম্ভীর বলেন, "দল চাপে থাকলে ঝুঁকিহীন ক্রিকেট খেলতে হয়। সেই মোমেন্টাম ধরে এগোতে হয়। বিরাট কোহলি ঠিক এটাই করেছে। বল ধরে ধরে খেলল ও। ৭০ প্লাস রানের ইনিংসে মাত্র ৫টা বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে ও। স্পিন খেলার দক্ষতা তো বটেই, সেই সঙ্গে স্পিনের বিরুদ্ধে স্ট্রাইক রোটেট করার দক্ষতাও প্রমাণিত হয়।"
এখানেই না থেমে কোহলিকে নিয়ে গম্ভীর আরও জানাচ্ছেন, "এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণেই ও এত ধারাবাহিক। নিশ্চিত ওঁকে দেখে ড্রেসিংরুমের অনেক জুনিয়র ক্রিকেটাররা ফিটনেস, রানিং বিটুইন দ্য উইকেটস, কীভাবে মাঝের ওভারে স্ট্রাইক রোটেট করতে হয়, তার গুরুত্ব বুঝতে পারবে। কারণ টি২০ জমানায় সব ক্রিকেটাররাই সব বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে চায়।"
"কিন্তু এটা মোটেই সহজ নয়। কারণ ২-৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ক্রিজে নেমেই আগ্রাসী ব্যাটিং সম্ভব নয়। সরাসরি আক্রমণ চালানো সহজ নয়। চাপ শুষে নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে স্ট্রাইক রোটেট করতে হয়। দলের তরুণ ক্রিকেটাররা কোহলিকে দেখে শিখবে আশা করি।"