New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/08/NjHL66aZPHLXJ5kgTGSy.jpg)
East Benal vs Chennaiyin match: ইস্টবেঙ্গল বনাম চেন্নাইয়িন ম্যাচের একটি দৃশ্য। (ছবি- স্ক্রিনগ্যাব)
East Bengal vs Chennaiyin: দলের খারাপ পারফরম্যান্স থেকে বাঁচতেই চেন্নাইয়িনদের বিরুদ্ধে মেসিকে নামিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফল দাঁড়াল ৩-০।
East Benal vs Chennaiyin match: ইস্টবেঙ্গল বনাম চেন্নাইয়িন ম্যাচের একটি দৃশ্য। (ছবি- স্ক্রিনগ্যাব)
East Bengal vs Chennaiyin: চেন্নাইয়িনদের কাছে হেরে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের প্লে-অফ পর্বে ওঠার সম্ভাবনায় প্রায় ইতি ঘটল। দুর্বল রক্ষণ এবং ফরোয়ার্ডদের তিনকাঠিতে বল রাখতে না পারার ব্যর্থতা, শনিবার ইস্টবেঙ্গলের অগ্রগতির বাধা হয়ে দেখা দিল। সদ্য আসা বিদেশি মেসি বাউলিও সেই বাধা কাটাতে পারলেন না। ফলে, যুবভারতীতে ৩-০ গোলে হার মানতে বাধ্য হল লাল-হলুদ শিবির।
কোচ অস্কার ব্রুজো আশাবাদী ছিলেন, ম্যাচটা হয়তো জিতে যাবেন। একইসঙ্গে অবশ্য, তিনি বেশ সতর্কভাবেই জানিয়েছিলেন যে চেন্নাইয়িনদের হেলাফেলা করা যাবে না। কিন্তু, ফলটা যে এমনধারার হবে, তা বোধহয় তিনিও কল্পনাতেও আনতে পারেননি। এদিনের ম্যাচে হারার পর পরিস্থিত এমন দাঁড়াল যে ইস্টবেঙ্গল যদি বাকি সব ম্যাচ জিতেও যায় আর লিগের পাঁচ বা ছয় নম্বর থাকা দলগুলো যদি পরপর ম্যাচ হারেও, তবেই লাল-হলুদ শিবিরের প্লে-অফ পর্বে ওঠার আশা কেবল জিইয়ে থাকবে।
এদিনের ম্যাচে নিশু কুমার আত্মঘাতী গোলে ইস্টবেঙ্গলকে পিছিয়ে দিয়েছিল। তারপরে আর এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়নি লাল-হলুদ বাহিনী। বরং, জর্ডান আর চিমাচুকু গোল করে তাদের কফিনে পেরেক পুঁতে দেন। শনিবার, ম্যাচের ১০ মিনিট পর থেকেই ঘরের মাঠে খেলার নিয়ন্ত্রণ ইস্টবেঙ্গল কার্যত তুলে দিয়েছিল চেন্নাইয়িনদের পায়ে। ইরফান ইয়াদওয়াদ ও জিতেশ্বর সিংহ কার্যত ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়দের নাচিয়ে ছাড়েন। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত লাল-হলুদের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিলেন কোনর শিল্ডস। তাঁরই ব্যাকহিলে পা লাগিয়ে নিজেদের গোলে ঢুকিয়ে দেন নিশু।
ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটার পিছনেও নিশুই দায়ী। তিনি ইরফানকে আটকাতে পারেনি। আর, সেই ইরফানের ক্রসে পা লাগিয়েই গোল করে যান জর্ডান উইলমার। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে চাপে পড়ে নিশুকে মাঝমাঠে তুলে দেন কোচ অস্কার। হেক্টরের জায়গায় নামান প্রভাত লাকরাকে। নামিয়ে দেন নন্দকুমার ও নতুন বিদেশি রাফায়েল মেসি বাউলিকেও। কিন্তু, চেন্নাইয়িনের কোচ ওয়েন কয়েল পালটা তাঁর ডিফেন্সকে আরও মজবুত করে নেন। ফলে, ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগ চেন্নাইয়িনের দুর্গ ভাঙতে ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন- সমানতালে টক্কর দিয়েও পরাজিত মহামেডান, অ্যাওয়ের পর হোম ম্যাচেও জয়ী হায়দরাবাদ
এদিনের ম্যাচে ডিফেন্সের মত ইস্টবেঙ্গলের ফরোয়ার্ড লাইনও ব্যর্থতার নজির গড়েছে। বক্সের সামান্য বাইরে নিশুর ভাসানো ফ্রি কিক ধরে চেন্নাইয়িনের গোলকিপারকে একা পেয়েও সাউল বাইরে মারেন। এর সামান্য পরেই ভেনেজুয়েলার ফুটবলার রিচার্ড সেলিস আবার লালচুংনুঙ্গার ক্রস ধরে গোলকিপারকে একা পেয়েও পোস্টের বাইরে মারেন।