তিনি সিনিয়র। অথচ তিনি বলে আগুন ঝড়ালেন তরুণ সতীর্থের পরামর্শে। সেই পরামর্শের সৌজন্যেই প্রথম টেস্ট জয়ের দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে ভারত। প্রথম ইনিংসে ভারত ২৯৭ রানে থামার পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় দিনের শেষে ১৮৯ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। আর ক্যারিবিয়ানদের ৮ উইকেটের মধ্যে ইশান্তের দখলেই পাঁচ উইকেট। বাকি তিন উইকেট জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি ও রবীন্দ্র জাদেজার।
বল হাতে সফল হওয়ার পরে দিল্লির পেসার খুল্লমখুল্লা জানিয়ে দিয়েছেন বুমরার টোটকা মেনেই তিনি সাফল্য পেয়েছেন। ইশান্ত বলছেন, "বৃষ্টি হওয়ার পরে বল ভিজে গিয়েছিল। বলের যাবতীয় কারিকুরি শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমরা ঠিক করেছিলাম ক্রস সিমে বল করব। পিচে বাউন্স ছিল। আসলে বুমরা বলেছিল, সাধারণভাবে কার্যত যখন কিছুই করা যাচ্ছিল না, তখন ক্রিস সিমে বল করা যাক।"
বিসিসিআই টিভি-র হয়ে ইশান্ত শর্মার সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন পুনরায় ফিল্ডিং কোচ নির্বাচিত হওয়া আর শ্রীধর। সেখানেই ইশান্ত শর্মা বলছিলেন, "আমাদের উদ্দেশ্য ছিল প্রতিপক্ষকে যত কম সম্ভব রানে অল আউট করে দেওয়া। এটা দলের জন্যই। আমরা চেষ্টা করেছিলাম। তা অনেকটাই ফলে গিয়েছে।"
কেবলমাত্র বল হাতে পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়াই নয়। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে রবীন্দ্র জাদেজার (৫৮) সঙ্গে ৬০ রানের পার্টনারশিপও গড়ে ভারতকে ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছেন। ব্যাট হাতে ইশান্তের অবদান মাত্র ১৯। তবে জাদেজার সঙ্গে জুড়ির সৌজন্যেই ভারত প্রথম ইনিংসে ২৯৭ রান স্কোরবোর্ডে তুলতে পেরেছে। নিজের ৯১ তম টেস্ট খেলতে নামা ৩০ বছরের দিল্লি পেসার বলছিলেন, "সত্যি আউট হওয়ার পরে মোটেই ভাল লাগছিল না। জাড্ডুর সঙ্গে যতই রান যোগ করছিলাম, ততই দলের অবস্থান আরও মজবুত হচ্ছিল। ২৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরে যেভাবে আমরা কামব্যাক করলাম, তারপরেও জাদেজার সঙ্গে নিজের পার্টনারশিপ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম।"
নিজের পাঁচ শিকারের মধ্যে দুটোই কট অ্যান্ড বোল্ড। এর মধ্যে ইশান্তের চতুর্থ শিকার শিমরন হেটমায়ারের আউট উল্লেখযোগ্য। দিনের শেষ ওভারে ইশান্তের এই আউটই ভারতকে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসার সুযোগ করে দিয়েছে। এই বিষয়ে ইশান্ত অবশ্য পুরোপুরি ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন। জানিয়েছেন, "সমস্ত কৃতিত্ব শ্রীধরের। শ্রীধর সবসময়ে বলে, ফিল্ডিং করার সময়ে পূর্বানুমান বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ক্লান্ত হওয়ার পরেও যদি অতিরিক্ত পরিশ্রম করা যায়, বোলিং করার পরেও যদি ফিল্ডিংয়ে খাটনি করা যায়, তাহলে ফিটনেসের মাত্রা বাড়বেই।" এরপরে ইশান্তের সংযোজন, "ক্রিকেটার হিসেবে ফিটনেসে যদি উন্নতি করা যায়, তাহলে ফলাফল নজরে আসবেই। তবে যার জন্য এই সাফল্য তিনি প্রকাশ্যে আসেন না। আসলে এটা কঠোর পরিশ্রমের ফল।"
Read the full article in ENGLISH