প্রবল টেনশন শুরু হয়েছিল। স্থির থাকতে পারছিলেন না। সেই কারণেই সটান লুকোন টয়লেটে। এমনই দুরন্ত অভিজ্ঞতার কথা এবার শেয়ার করলেন নিউজিল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার কাইল জেমিসন। ভারতের ১৩৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে বেশ কিছুটা উদ্বেগের মুহূর্ত কাটাতে হয় কিউয়ি ব্যাটসম্যানদের। অশ্বিন দুই ওপেনারকে আউট করে আরো অনিশ্চয়তা হাজির করেন ম্যাচে। টেনশনের সেই মুহূর্ত আর সামলাতে পারেননি জেমিসন। সেই জন্যই একান্তে টয়লেটে চলে যান তিনি।
ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া জেমিসন গোল্ড এএম-এ কাউন্টি স্পোর্টস ব্রেকফাস্টে বলেন, "দর্শক হিসাবে আমার ক্রিকেট কেরিয়ারের সবথেকে কঠিন সময় ছিল সম্ভবত আমাদের রান চেজ করার মুহূর্তটাই। আমরা ভিতরে বসে টিভি দেখছিলাম। সম্প্রচারে একটু হয়ত বিলম্ব হচ্ছিল। তবে দেখতে পাচ্ছিলাম, কীভাবে প্রতি বল পরেই ইন্ডিয়ান সমর্থকরা দাঁড়িয়ে পড়ছিল। আমি ভাবছিলাম, আরো একটা উইকেট পড়ল নাকি! যদিও পরে দেখা যাচ্ছিল, ব্যাটসম্যানরা হয়ত ডিফেন্স করছে অথবা একটা সিঙ্গল নিচ্ছে।"
আরো পড়ুন: লজ্জার হার সাউদাম্পটনে! প্রবল বয়কটের মুখে জাতীয় দলের তারকারা
চাপের মুহূর্ত পেরিয়ে ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন এবং রস টেলর দলকে জিতিয়েই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। "আসলে এত চিৎকার চেঁচামেচি হচ্ছিল মাঠে, স্টেডিয়ামে সর্বত্র, আমি টেনশনে পড়ে যাচ্ছিলাম। তাই একদম নিরিবিলি বাথরুমে চলে গিয়েছিলাম, যেখানে একটুও শব্দ শোনা যাচ্ছিল না। তবে এই চাপ পেরিয়েই কেন এবং রস আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছিল। আমাদের সেরা দুই ব্যাটসম্যান যারা মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ ফিনিশ করতে পারে।" বলছিলেন জেমিসন।
সেলিব্রেট করার জন্য যদিও সময়ই কার্যত পাননি জেমিসন। কারণ ফাইনালে জেতার ৪৮ ঘন্টা পরেই ফের মাঠে নামতে হয়েছিল। তবে দেশ নয়, তার কাউন্টি দল সারের হয়ে। জেমিসন সেই ঘটনা জানিয়ে বলেছেন, "৪৮ ঘন্টার মধ্যেই সারের হয়ে টি২০ খেলতে মাঠে নেমে পড়েছিলাম। এমন ধরণের জীবনই আমরা আসলে কাটাই। তবে কাউন্টি ক্রিকেটে এটা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। যদিও সেই সেলিব্রেশনের মুহূর্তে দেশের বন্ধুদের বিদায় জানানোটা বেশ শক্ত।"
আরো পড়ুন: ফর্ম নয়, নাম দেখে নেওয়া হয়েছে বুমরাকে! ম্যানেজমেন্টকে এবার তোপ প্রাক্তন তারকার
জেমিসন নিজের আইপিএল ক্যাপ্টেন এবং আরসিবি সতীর্থ বিরাট কোহলিকে দুই ইনিংসেই আউট করেন। তবে আপাতত জেমিসন তিন মাস বাড়ি থেকে দূরে কাটিয়ে কিছুটা হোমসিক হয়ে পড়েছেন। জানিয়ে দিচ্ছেন, "ইতিমধ্যেই তিন মাস কেটে গিয়েছে। আর আইসোলেশন কাটিয়ে পরিবারের সঙ্গে ফের মিলিত হওয়ার পরে চার মাস পেরিয়ে যাবে। অনেক দিন পরিবারের থেকে দূরে কাটালাম। বাড়িতে থাকার সময় বেশ উপভোগ করতে চলেছি আগামীদিনে। এমন কঠিন সময়েও আমাদের কাজ রয়েছে। দেশে-বিদেশে ঘুরে নিজেদের পছন্দের কাজ করতে পারছি। সেদিক থেকে দেখলে আমরা ভাগ্যবান বটে। তবে আপাতত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাড়িতে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন