আনন্দে, উচ্ছ্বাসে গোটা নিউজিল্যান্ড জুড়ে উৎসব চলছে। ক্রিকেটে প্রথম বড় স্বীকৃতি, তা-ও আবার ভারতের মত শক্তিধর দেশকে হারিয়ে। এমন উৎসবের আবহ আগে দেখেননি, বলে জানিয়ে দিলেন নিউজিল্যান্ডের তারকা পেসার নিল ওয়াগনার। সাউদাম্পটনে টেস্ট খেলে দেশে ফিরে কীভাবে উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভেসে গিয়েছেন, তা নিয়েই সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন ওয়াগনার।
রোজ বোলে ঐতিহাসিক টেস্ট ফাইনাল জয়ের পর দেশে ফিরে হিরোর মর্যাদা পেয়েছেন কেন উইলিয়ামসনরা। নিয়ম মেনে ক্রিকেটারদের পাসপোর্টও খতিয়ে দেখেননি বিমান বন্দরে শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। বরং তাঁরা একঝলক তারকা ক্রিকেটারদের সান্নিধ্য চেয়েছেন, ছবি তুলতে চেয়েছেন। জানতে চেয়েছেন, টেস্টের সেই স্মারক কোথায়!
আরো পড়ুন: সমালোচনায় ছিন্নভিন্ন ধোনি! গাছ না কাটার বার্তা দিয়ে একী ভুল করলেন মহাতারকা
ওয়াগনার স্টাফ.কো.এনজেড-কে জানাচ্ছিলেন, "এভাবে কখনো কাস্টমসের অফিসাররা আমাদের স্বাগত জানাননি। সকলেই সোজাসুজি একদম শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন। আমাদের পাসপোর্ট চেপে ধরে আমাদের বারবার ওঁরা জিজ্ঞাসা করছিলেন, টেস্টের সেই স্মারক-দণ্ড কোথায়? সকলেই যখন সেটা দেখছিলেন, মুখে হাসি যেন ধরছিল না! ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জেতার পর ট্রফি নিয়ে যে এমন ঘটবে, ভাবতেই পারিনি আমরা।"
কিউয়ি পেসার আরো জানাচ্ছিলেন, "মনে আছে টেস্টের একনম্বর দল হওয়ার পরে টিমের হাতে এই স্মারক তুলে দেওয়া হত। শৈশব থেকেই এমনটা দেখে আসছি। সেই স্মারক হাতে নেওয়ার পর কেমন অনুভূতি হয়, সেটা বুঝতে পারলাম। একটা মাত্র ফাইনাল জেতার অর্থ আমাদের এবং দেশবাসীর কাছে যে কী সেটা জানলাম।"
ইএসপিএন ক্রিকইনফো-কে ওয়াগনার আবার জানাচ্ছিলেন, কীভাবে পুলিশ তাঁদের সঙ্গে সেলফি তুলতে চাইছিল। ৩৫ বছরের তারকা পেসার এখনই ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো প্ল্যানিং করেননি। তিনি বরং নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, "এমনকি বিমানবন্দরে নেমে পুলিশরাও আমাদের ফটো তুলেছিল দূরত্ব বজায় রেখে। দুঃখের বিষয় এটাই যে এখন করোনার সময়। তাই এখন বাকিদের আলিঙ্গন করা কিংবা একসঙ্গে ছবি তোলা সম্ভব নয়। তবে ওদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে ভালো লাগছে। যেভাবে বাসে ওঠার সময় সবাই স্বাগত জানাচ্ছিল, সেটা মনে থাকবে। বিমানবন্দরের বাইরে সকলে আমাদের জন্য চিয়ার করছিলেন। ক্যামেরায় ফটো তোলার হুড়োহুড়িও ছিল। আমাদের জয় সকলকে আনন্দ দিতে পেরেছে, এটাই অনেক।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন