অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ ইনিংসে আর রূপকথা হল না। স্মিথও পারলেন না শেষবারের মতো ব্যাট হাতে বরাবরের মতো প্রতিপক্ষ বোলারদের শাসন করতে। ২৩ রানে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে আউট হতেই ম্যাচ হারের লক্ষণ পাওয়া গিয়েছিল। ৩৯৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থেমে গেল ২৬৩ রানে। ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্ট ১৩৫ রানে জিতলেও সিরিজ ২-২ ফলাফলে অমীমাংসিত থাকল। সবমিলিয়ে সিরিজ নিষ্ফলা থাকলেও স্মিথের শ্রেষ্ঠত্ব আরও একবার প্রমাণিত হল অ্যাসেজে।
রেকর্ডের বন্যায় বাকি ক্রিকেটারদের অবশ্য ভাসিয়ে দিচ্ছেন স্মিথ। একটি টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় শীর্ষে থাকা ডন ব্র্যাডম্যানকে (৯৭৪ রান) স্পর্শ করতে না পারলেও স্মিথ ছুয়ে ফেলছেন অন্য কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকারকে। ১৯৭১ সালে অভিষেক টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টের সিরিজে নজির গড়েছিলেন গাভাসকার। প্রথম টেস্টে সুযোগ না পেলেও, পরের চার টেস্টে তাঁর ব্যাট থেকে বেরিয়েছিল ৭৭৪ রান।
স্মিথও চলতি অ্যাসেজে চার টেস্ট খেলে করে ফেলেছেন ৭৭৪ রান। তবে ভিভ রিচার্ডসের রেকর্ড অবশ্য সামান্যর জন্য পেরোতে পারেননি স্মিথ। চার টেস্টের সিরিজে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রিচার্ডস। ১৯৭৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের সিরিজে চার ম্যাচ খেলে রিচার্ডস করেছিলেন ৮২৯ রান। এবারের স্মিথের মতো সেবারেও অসুস্থতার জন্য এক টেস্ট খেলতে পারেননি কিং ভিভ।
চার ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকা:
৮২৯ (ভিভ রিচার্ডস, ১৯৭৬)
৭৭৪ (সুনীল গাভাসকার, ১৯৭১)
৭৭৪ (স্টিভ স্মিথ, ২০১৯)
৭৬৯ (স্টিভ স্মিথ, ২০১৪-১৫)
৭৫২ (গ্রাহাম গুচ, ১৯৯০)
ঘটনাচক্রে, স্মিথ অ্যাসেজে ৭৭৪ রান করার সঙ্গে নিজের রেকর্ডকেও অতিক্রম করেছেন। ২০১৪-১৫ সালে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে স্মিথ গোটা সিরিজে করেছিলেন ৭৬৯ রান। রেকর্ডের পর রেকর্ড করা স্মিথ সিরিজের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। তারপরেই জানিয়ে দিচ্ছেন, "ইংল্যান্ডে শেষ কয়েকটা মাস দারুণ কাটল। দুরন্ত ক্রিকেটের সাক্ষী থেকেছি আমরা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে পারফর্ম করতে পারায় আমি গর্বিত। অ্যাসেজ পাত্র দেশে ফিরিয়ে আনতে পেরে ভাল লাগছে।"