Advertisment

সূর্যের আগুনেও ঢাকল না মেঘ! পাকিস্তানকে বিপদে ফেলে প্রোটিয়াজদের কাছে হার ভারতের

ভারতের হারে ব্যাপক বিপদে পড়ে গেল পাকিস্তান

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
NULL

ভারত: ১৩৩/৯

দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৩৭/৫

Advertisment

প্রবল প্রত্যাঘাতেও কাজ হল না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শোচনীয়ভাবে হেরেই মাঠ ছাড়তে হচ্ছে টিম ইন্ডিয়াকে। সূর্যকুমার যাদবের লড়াকু ব্যাটে ভর করে ভারত কোনওরকমে স্কোরবোর্ডে ১৩৩ তুলেছিল। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভারতকে আশা জাগিয়েছিলেন আর্শদীপ সিং। দ্বিতীয় ওভারেই রিলি রসৌ, কুইন্টন ডিকককে আউট করে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন পাঞ্জাব তনয়। তবে শেষ রক্ষা হল না। মিলার-মারক্রাম হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ে পৌঁছে দেন।

পাকিস্তান রবিবার ভারতের জয়ের জন্য গলা ফাটাতে প্রস্তুত ছিল। তবে ফলাফলে হতাশ তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ভারত হারায় পাকিস্তানের কাছে সেমিফাইনালে পৌঁছনো কার্যত কঠিন হয়ে দাঁড়াল। পাকিস্তানের ভাগ্য আপাতত জোড়া ম্যাচের ওপর সরু সুতোর মত ঝুলছে। নেদারল্যান্ডস বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে পাকিস্তান চাইবে যথাক্রমে নেদারল্যান্ডস এবং বাংলাদেশের জয়। আবার জিম্বাবোয়ে যদি ভারতকে হারায় সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের সুবিধা হবে। নতুন সমীকরণ অনুযায়ী, পাকিস্তান চাইবে নেদারল্যান্ডস যেন জিম্বাবোয়েকে হারায়।

আরও পড়ুন: আউট হয়ে মাঠেই ভেঙে পড়লেন রাহুল! ফের ব্যর্থ তারকা কড়া নিন্দায় ছারখার, দেখুন ভিডিও

ঘটনা যাই হোক, রবিবার ভারতের পরাজয়ের পর পাকিস্তানের বিদায় যে কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল, তা বলাই বাহুল্য।

পারথের বাউন্সি পিচে ভারতের অল্প রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল দারুণভাবে। আর্শদীপ দ্বিতীয় ওভারেই ডিকক, রসৌকে ফিরিয়ে দেওয়ার পরে পাওয়ার প্লের মধ্যেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তেম্বা বাভুমা। শামির বলে কার্তিকের হাতে ক্যাচ তুলে প্রোটিয়াজ ক্যাপ্টেন বিদায় নেওয়ার পরে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪/৩ হয়ে গিয়েছিল। যেখান থেকে ভাবা হচ্ছিল ভারত অল্প রানের পুঁজি নিয়েও ম্যাচ জিতে যেতে পারে, সেখান থেকে দক্ষিন আফ্রিকাকে উদ্ধার করে গেলেন ডেভিড মিলার, আইডেন মারক্রম। দুজনে চতুর্থ উইকেটে ৭৬ রান যোগ করে ম্যাচের ফয়সালা করে দেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা রান চেজ করার সময়ে নতুন বলে আর্শদীপের সঙ্গেই দুরন্ত মহম্মদ শামি এবং ভুবনেশ্বর কুমার। প্ৰথম ১০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা রীতিমত খারাপ জায়গায় ছিল। জয়ের জন্য বাকি ১০ ওভারে আস্কিং রেট ছিল ৯। তবে মাঝের ওভারে চাপ ধরে রাখতে পারলেন না হার্দিক, অশ্বিনরা।

শেষ ৩ওভারে জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ২৪ রানে। অশ্বিন ১৮ তম ওভারে ১৩ রান বিলিয়ে ম্যাচের ভাগ্য ওখানেই নির্ধারণ করে দেন। শামি ১৯তম ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করে ম্যাচ জমিয়ে দেন। তবে ভুবনেশ্বর কুমারের শেষ ওভারের প্ৰথম চার বলেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় প্রোটিয়াজরা।

আরও পড়ুন: হারতে হারতে কোনওরকমে রক্ষা বাংলাদেশের, বাগে পেয়েও শেষ বলের থ্রিলারে হারল জিম্বাবোয়ে

টসে জিতে রোহিত শর্মা পারথের স্টেডিয়ামে প্ৰথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর বাউন্সি পারথের পিচে স্রেফ গুঁড়িয়ে গেল ভারতের হেভিওয়েট ব্যাটিং। লুঙ্গি এনগিদি ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের নেমেসিস হিসেবে আবির্ভূত হন রবিবার।পঞ্চম ওভারে বোলিং করতে এসেই দুই ওপেনারকে ফেরত পাঠান লুঙ্গি এনগিদি। প্ৰথমে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা তারকা পেসারের হাতেই ক্যাচ তিলে5 বিদায় নেন। সেই ওভারেই এক্সট্রা বাউন্সে রাহুলকে স্লিপে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। নিজের পরের ওভারে এসেই এনগিদির শিকার হয়ে বাড়ি ফেরেন কোহলিও। তৃতীয় ওভারে হার্দিক পান্ডিয়াকেও আউট করে করে যান। এনগিদির শর্ট বল পুল করতে গিয়েছিলেন হার্দিক। ডিপ মিড উইকেটে দুরন্ত ক্যাচ ধরেন রাবাদা।

অক্ষর প্যাটেলের জায়গায় ভারতীয় একাদশে ঢোকা দীপক হুডা সুবিধা করতে পারেননি। নর্জের পেসে পরাস্ত হয়ে উইকেটকিপার কুইন্টন ডিককের হাতে ক্যাচ তুলে আউট হয়ে যান হুডা। ৪৯/৫ হয়ে গিয়ে ঠিক যে সময় মনে হচ্ছিল ভারতীয় ইনিংস হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে সেখান থেকেই খেলার হাল ধরে নেন সূর্যকুমার যাদব। বাউন্স সামলাতে যেখানে ভারতের গোটা টপঅর্ডার ধসে গিয়েছিল, সেখানেই স্ট্রোকের আতসবাজি জ্বালিয়ে খেলে গেলেন স্কাই। ১৯ তম ওভারে আউট হওয়ার আগে সূর্যকুমার ৪০ বলে ৬৮ করে যান। ষষ্ঠ উইকেটে কার্তিকের (৬) সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপের প্রায় পুরো রানই এল সূর্যকুমারের ব্যাট থেকে। সূর্যকুমারের ব্যাটে ভর করেই ভারত শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ১৩০/৯ তুলতে সক্ষম হয়েছে।

T20 World Cup ICC Cricket World Cup Cricket World Cup Indian Cricket Team South Africa
Advertisment