Advertisment

৭০তম বিবাহবার্ষিকীতে মালাবদল, প্রবীণ দম্পতির রোম্যান্স হার মানাবে সিনেমাকেও

দিনটিকে স্পেশাল করে তুলতে কোনও খামতি রাখেননি বিশ্বনাথবাবুর পুত্র, কন্যা, পুত্রবধূ, জামাই, নাতি-নাতনিরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রবীণ দম্পতির রোম্যান্স হার মানাবে চিত্রনাট্যকেও

নিজের ১০০ বছর বয়সে ৭০তম বিবাহবার্ষিকীতে ৭০০ লোক খাইয়ে প্রমাণ করলেন বয়স শুধুই একটা সংখ্যা। এমন ঘটনাই এবার ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে। জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফের একবার মালাবদল করলেন ছেলে মেয়ে নাতি নাতনিকে সাক্ষী রেখে। বিশ্বনাথ সরকার এবং তাঁর স্ত্রী সুরধোনি সরকার সদ্য পালন করেছেন নিজেদের ৭০ তম বিবাহবার্ষিকীতে।

Advertisment

এই দিনটিকে স্পেশাল করে তুলতে কোন খামতি রাখেননি বিশ্বনাথবাবুর পুত্র, কন্যা, পুত্রবধূ, জামাই, নাতি-নাতনিরা। সবাই মিলে চেটেপুটে উপভোগ করলেন এমন সাধের এক দিন। বিশ্বনাথবাবু শতবর্ষে পা দিয়েছেন। আর তাঁর স্ত্রী তাঁর থেকে বছর দশেকের ছোট।

এদিন বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রায় ৭০০ জন অতিথি হাজির ছিলেন। সবার সামনে ফের একবার মালাবদল করেন এই প্রবীণ দম্পতি। যা দেখে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সেখানে হাজির সকলেই। দম্পতির ৬ ছেলে ৩ মেয়ে। সকলেই বিবাহিত। স্বামী, স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখে সংসার। সকলেই থাকেন দূরে দূরে। বিশেষ এই দিনটি সেলিব্রেট করার জন্য আগে থেকেই সকলে হাজির হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা থানার অন্তর্গত বামুনিয়া গ্রামে নিজেদের বাড়িতে। সকাল থেকে সানাই আর হরেক খাবারের গন্ধ ম ম করছে।

বিশ্বনাথবাবুর বড় ছেলে জানান, "বাবা মা আজকের সমাজের কাছে এক আদর্শ উদাহরণ। কোনওদিন মা-বাবাকে ঝগড়া করতে দেখিনি। দুজন দুজনকে প্রাণের থেকেও বেশি ভালবাসেন।" তিনি জানান, "৭০ তম বিবাহবার্ষিকী নিয়ে আমাদের সকলের মধ্যেই একটা উন্মাদনা ছিল। আজকের এই দিনটিকে একটু আলাদা ভাবে পালন করতে চেয়েছিলাম।আজ বাবা মা দুজনেই খুব খুশি।" 

বিশ্বনাথ বাবুর নাতনি পায়েল সরকার জানিয়েছেন, "আজকের দিনটি দারুণ উপভোগ করছি। আমি এই বিশেষ দিনটিকে চিরকাল মনে রাখব।”

marriage anniversary
Advertisment