শিক্ষক নিয়োগে ফের কেলেঙ্কারি ফাঁস। এবার এসএসসিতে বয়স ভাঁড়িয়ে নিয়োগের অভিযোগ উঠল। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ২১ জনের বয়সে কারচুপি করার অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনার তদন্তে সিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এসএসসি। সেই বছরেরই নভেম্বর মাসে নেওয়া হয় পরীক্ষা। পরবর্তীতে ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। চলতি বছরে এসএসসির ২০১৬-র নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সব প্রার্থীর মেধাতালিকা প্রকাশ করার। আদালতের নির্দেশ মতো মেধাতালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। আর সেই মেধাতালিকা প্রকাশ্যে আসতেই ফের চাঞ্চল্যকর দুর্নীতি সামনে এসে পড়েছে।
২০১৬-র ১৯৬ জন পরীক্ষার্থী বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে মামলা করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ যে, মেধার ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হয়নি। ২১ জনের চাকরি হয়েছিল অবৈধভাবে। এরমধ্যে মূল অভিযোগ ছিল, বয়সে কারচুপির।
এই মামলায় বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, যে ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। বয়স, নম্বর ইত্যাদি খতিয়ে দেখে আগামী ১৬ জানুয়ারির মধ্যে হাইকোর্টে সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
এক মামলাকারী বলেছেন, 'চাকরিতে নিয়োগের জন্য বয়সসীমা ৪০ বছর। কিন্তু এসএসসি-র দেওয়া মেধাতালিকার তথ্যেই স্পষ্ট, বয়স ৪০ পেরোনোর পরও চাকরির নিয়োগ মিলেছে। ফলে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন।'
দুর্নীতির আঁচ করে ভরা এজলাসে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর হুঁশিয়ারি,'এমন লজ্জাজনক দুর্নীতি দেখলে পুরো প্যানেল বাতিল করে দেব। কিন্তু অনেক যোগ্য প্রার্থীরা রয়েছেন বলে আপাতত কিছু করছি না।'